নতুন ম্যাকবুক (MacBook) কেনার সময় যেসব ফিউচার জানা দরকার

নতুন ম্যাকবুক (MacBook) কেনার সময় যেসব ফিউচার জানা দরকার ম্যাকবুক কিনতে গেলে অনেক কিছু মনে রাখতে হয়, কারণ এটি একটি বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ।

নতুন ম্যাকবুক (MacBook) কেনার সময় যেসব ফিউচার জানা দরকার

আপনি যদি নতুন ম্যাকবুক কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাহলে আপনার জন্য কিছু বিশেষ ফিচার জানা অত্যন্ত জরুরি। এই ফিচারগুলো শুধুমাত্র আপনার ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে না, বরং আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব যে নতুন ম্যাকবুক কেনার সময় কোন কোন ফিচারগুলি আপনার জানার প্রয়োজন।

ভুমিকাঃ

নতুন ম্যাকবুক  (MacBook) কেনার সময় যে যেসব ফিউচার জানা দরকার নতুন ম্যাকবুক কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যা কেবল একটি প্রোডাক্ট কেনার মতো বিষয় নয়, বরং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ। অনেক সময় দেখা যায়,

পোস্ট সুচিপত্রঃএকটি প্রযুক্তি ডিভাইস কেনার পর আমরা সঠিকভাবে বুঝতে পারি না, কী কী ফিচার আমাদের জন্য উপকারী হতে পারে বা কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত। যেহেতু ম্যাকবুকের দাম অন্যান্য ল্যাপটপের তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি, তাই এটি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ম্যাকবুক কেনার আগে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হবে, যেমন আপনার প্রয়োজনীয়তা, বাজেট, এবং ব্যবহারিক দিকগুলি। অ্যাপল সাধারণত তার ডিভাইসগুলির জন্য অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি এবং ইকোসিস্টেম প্রদান করে, যার ফলে আপনি যেকোনো ম্যাকবুক কিনলে তা দীর্ঘদিন ধরে কার্যকরী থাকবে।

তবে, ম্যাকবুকের বিভিন্ন মডেল এবং কনফিগারেশনের মধ্যে কিছু ফিচার এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেগুলোকে যাচাই করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি কেবল সাধারণ কাজ যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মেইল চেকিং, এবং অফিস কাজের জন্য একটি ল্যাপটপ চান, তাহলে ম্যাকবুক এয়ার হতে পারে আপনার জন্য সঠিক অপশন। কিন্তু, যদি আপনি গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের মতো পেশাদার কাজ করেন, তাহলে ম্যাকবুক প্রো হবে আরও উপযুক্ত।

আজকের এই গাইডের মাধ্যমে আমরা ম্যাকবুক কেনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার এবং বিশেষ দিক নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। এই আর্টিকেলে ম্যাকবুকের পারফরম্যান্স, ডিসপ্লে, ব্যাটারি লাইফ, সুরক্ষা ফিচার, সফটওয়্যার ইকোসিস্টেম, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। এছাড়া, আমরা ম্যাকবুকের বিভিন্ন মডেল এবং তাদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী কোন মডেলটি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে।

আপনি যদি একজন পেশাদার বা সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব হন, অথবা আপনার কাজের জন্য একটি শক্তিশালী, টেকসই এবং উচ্চমানের ডিভাইস প্রয়োজন, তাহলে ম্যাকবুক কিনা আপনার জন্য একটি বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে, আপনি যদি প্রথমবার ম্যাকবুক কিনতে যাচ্ছেন, তাহলে কিছু প্রাথমিক ধারণা থাকা উচিত।

যেমন, ম্যাকবুকের M1 বা M2 চিপসেটের পারফরম্যান্স এবং ম্যাকওএস এর সুবিধাগুলি, রেটিনা ডিসপ্লে প্রযুক্তির গুরুত্ব, এবং বিভিন্ন ধরনের পোর্ট, কনফিগারেশন ও অন্যান্য এক্সপ্যানশন সুবিধা সম্পর্কে জানলে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

এই দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আপনার নির্বাচিত ডিভাইসটি যদি দীর্ঘ সময় ধরে আপনার কাজের সঙ্গী হতে চায়, তাহলে আপনার প্রয়োজনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ফিচারগুলো বেছে নেওয়া প্রয়োজন। আমরা আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি আপনাকে ম্যাকবুক কেনার সময় প্রয়োজনীয় সকল গুরুত্বপূর্ণ ফিচার সম্পর্কে জানাতে সাহায্য করবে, যাতে আপনি আপনার জন্য সেরা ডিভাইসটি বেছে নিতে পারেন।

1. ম্যাকবুকের ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি

নতুন ম্যাকবুক (MacBook) কেনার সময় যেসব ফিউচার জানা দরকার নতুন ম্যাকবুক কেনার সময় ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। অ্যাপল সবসময় তার প্রোডাক্টগুলোর ডিজাইন নিয়ে বেশ মনোযোগ দেয় এবং এটি তাদের অন্যতম শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য। ম্যাকবুকের পাতলা এবং হালকা ডিজাইন ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক। এটি সহজেই ব্যাগে ফিট হয়ে যায় এবং যেকোনো জায়গায় নিতে সুবিধা হয়। তাছাড়া, ম্যাকবুকের বিল্ড কোয়ালিটি খুবই মজবুত, যা দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই।

2. ডিসপ্লে: রেটিনা ডিসপ্লে এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য

নতুন ম্যাকবুক (MacBook) কেনার সময় যেসব ফিউচার জানা দরকার ম্যাকবুকের ডিসপ্লে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এটি রেটিনা ডিসপ্লে প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা উচ্চমানের ছবি এবং ভিডিও দেখতে সহায়ক। এটি ১৩-inch থেকে ১৬-inch পর্যন্ত বিভিন্ন সাইজে আসে। রেটিনা ডিসপ্লে ম্যাকবুকের স্ক্রিনের রেজল্যুশন অত্যন্ত উচ্চ, যা ছবির স্পষ্টতা এবং তীক্ষ্ণতা নিশ্চিত করে। এছাড়া, আইপিএস টেকনোলজির সাহায্যে স্ক্রীনটি ১৭৮ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে দেখলেও রঙের গুণমান বজায় থাকে।

3. প্রসেসর এবং পারফরম্যান্স

নতুন ম্যাকবুক কেনার সময় প্রসেসর এবং পারফরম্যান্সের দিকে নজর দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাপল তার ম্যাকবুক মডেলগুলোতে উন্নত প্রসেসর ব্যবহার করে থাকে। নতুন ম্যাকবুকগুলোতে ব্যবহার করা হয় অ্যাপলের M1 এবং M2 চিপসেট, যা সিগনিফিকেন্টভাবে দ্রুত পারফরম্যান্স প্রদান করে। এই চিপসেটগুলো ব্যাটারি লাইফের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। M1 বা M2 চিপসেট ব্যবহার করে আপনি সহজেই মাল্টিটাস্কিং, ভিডিও এডিটিং এবং গেমিংও উপভোগ করতে পারবেন।

4. ব্যাটারি লাইফ

ব্যাটারি লাইফ ম্যাকবুকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। বর্তমান ম্যাকবুক মডেলগুলোর ব্যাটারি লাইফ আগের তুলনায় অনেক উন্নত। আপনি যদি একটি নতুন ম্যাকবুক কিনতে চান, তাহলে ব্যাটারি লাইফ সম্পর্কে জানতে হবে। অ্যাপল দাবি করে যে তাদের নতুন ম্যাকবুক মডেলগুলি একবার চার্জ দিলে ১৭ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিডিও প্লেব্যাক করতে পারে। এটি দীর্ঘসময় ধরে কাজ করার জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। এক কথায়, দীর্ঘব্যাটারি লাইফ যেকোনো পেশাদার এবং ছাত্রদের জন্য উপযুক্ত।

5. স্টোরেজ এবং র‍্যাম

স্টোরেজ এবং র‍্যাম ম্যাকবুকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আপনি যদি এমন কোনো কাজ করেন যা অনেক ডেটা প্রক্রিয়া করতে হয়, তাহলে পর্যাপ্ত স্টোরেজ এবং র‍্যাম থাকা জরুরি। নতুন ম্যাকবুক মডেলগুলোতে ৮GB থেকে ১৬GB র‍্যাম পর্যন্ত পাওয়া যায়, এবং স্টোরেজের অপশন ২৫৬GB থেকে ১TB পর্যন্ত হতে পারে। SSD স্টোরেজ সিস্টেমটি খুবই দ্রুত এবং আপনার কম্পিউটারকে দ্রুত চলতে সহায়ক।

6. টাচবার এবং কীবোর্ড

নতুন ম্যাকবুক মডেলগুলোর একটি অন্যতম আকর্ষণীয় ফিচার হচ্ছে টাচবার। এটি একটি ইনফিনিটি স্ক্রিন যা কীবোর্ডের উপরে থাকে এবং বিভিন্ন কন্ট্রোল অপশন প্রদান করে। টাচবার ব্যবহার করে আপনি দ্রুত ফাইল এক্সেস, অডিও ভলিউম কন্ট্রোল এবং অন্যান্য বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। যদিও টাচবার অনেক ব্যবহারকারীর কাছে জনপ্রিয়, কিছু মডেলে এটি থাকবে না। তাই আপনি কিনতে যাওয়ার আগে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী মডেলটি বেছে নিতে হবে।

7. অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার

ম্যাকবুকের অপারেটিং সিস্টেম হল macOS। এটি একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং সুরক্ষিত অপারেটিং সিস্টেম, যা বেশিরভাগ পেশাদারদের জন্য আদর্শ। macOS-এ আপনি বিভিন্ন প্রফেশনাল সফটওয়্যার যেমন ফাইনাল কাট প্রো, অ্যাডোবি ক্রিয়েটিভ ক্লাউড, লজিক প্রো এক্স এবং অন্যান্য ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া, ম্যাকবুকের সাথে অ্যাপল এর নিজস্ব সফটওয়্যার ও পরিষেবাগুলির সুবিধা পাওয়া যায়, যেমন iCloud, হাই সিয়েরা এবং অন্যান্য।

আরো পড়ুনঃ ল্যাপটপ কেনার সময় কি কি দেখে কিনতে হয়? বিস্তারিত জানুন

8. কানেকটিভিটি এবং পোর্টস

নতুন ম্যাকবুক (MacBook) কেনার সময় যেসব ফিউচার জানা দরকার ম্যাকবুকের কানেকটিভিটি এবং পোর্টস বিষয়ে নতুনত্বও এসেছে। বর্তমান ম্যাকবুক মডেলগুলোতে USB-C পোর্ট এবং থান্ডারবোল্ট ৩ পোর্ট রয়েছে, যা অত্যন্ত দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম। ম্যাকবুকটি Wi-Fi 6 এবং Bluetooth 5.0 সমর্থন করে, যার মাধ্যমে দ্রুত ইন্টারনেট কানেকশন এবং ওয়্যারলেস ডিভাইসের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায়।

9. মূল্য এবং বাজেট

ম্যাকবুকের মূল্য নির্ভর করে মডেল এবং কনফিগারেশন অনুযায়ী। সস্তা মডেল যেমন ম্যাকবুক এয়ার কিছুটা কম দামে পাওয়া যায়, তবে ম্যাকবুক প্রো সাধারণত বেশি দামে বিক্রি হয়। আপনি যখন নতুন ম্যাকবুক কেনার পরিকল্পনা করবেন, তখন আপনার বাজেটের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বাজেট অনুযায়ী সঠিক মডেল নির্বাচন করার জন্য, আপনি আপনার প্রয়োজন এবং ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

10. অ্যাপল কেয়ার এবং সার্ভিস

নতুন ম্যাকবুক (MacBook) কেনার সময় যেসব ফিউচার জানা দরকার অ্যাপল কেয়ার হচ্ছে অ্যাপলের নিজস্ব সার্ভিস পরিকল্পনা, যা আপনাকে আপনার ম্যাকবুকের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা এবং রক্ষণাবেক্ষণ পরিষেবা প্রদান করে। অ্যাপল কেয়ারের মাধ্যমে আপনি ওয়্যারেন্টি, সফটওয়্যার আপডেট এবং হার্ডওয়্যার রিফান্ড পেতে পারেন। আপনি যদি ম্যাকবুকের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সেবা চান, তবে অ্যাপল কেয়ার সাবস্ক্রাইব করা উচিত।

11. নিরাপত্তা ফিচার

নতুন ম্যাকবুক মডেলগুলোর নিরাপত্তা ফিচারও বেশ উন্নত। এটি একটি টাচ আইডি স্ক্যানার এবং ফেস আইডি ক্যামেরা সহ আসে, যা আপনার ডিভাইসের নিরাপত্তা বাড়ায়। এছাড়া, এটি এনক্রিপশন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ফিচারগুলির মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখে।

12. গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিং

যদি আপনি গেমিং বা মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য ম্যাকবুক ব্যবহার করতে চান, তবে বর্তমান ম্যাকবুক মডেলগুলো এর জন্য উপযুক্ত। অ্যাপলের M1 এবং M2 চিপসেট ব্যবহার করে আপনি সহজেই গেম খেলতে এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন একসাথে চালাতে পারবেন।

13. বিকল্প এবং প্রতিযোগিতা

ম্যাকবুকের বিকল্প হিসেবে, অন্যান্য ব্র্যান্ড যেমন ডেল, এইচপি এবং লেনোভো এর ল্যাপটপও অনেক জনপ্রিয়। তবে, ম্যাকবুকের সফটওয়্যার ইকোসিস্টেম, বিল্ড কোয়ালিটি এবং অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহারযোগ্যতা এর আলাদা স্থান তৈরি করেছে।

14. সফটওয়্যার এবং ইকোসিস্টেম

ম্যাকবুক কেনার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো অ্যাপলের সফটওয়্যার এবং ইকোসিস্টেম। আপনি যখন ম্যাকবুক ব্যবহার শুরু করবেন, তখন আপনার কাছে থাকবে অ্যাপল এর একাধিক পরিষেবা এবং ডিভাইসের মধ্যে অসাধারণ ইন্টিগ্রেশন। অ্যাপলের macOS অপারেটিং সিস্টেমে ডেস্কটপ,

ল্যাপটপ, আইফোন, আইপ্যাড এবং অ্যাপল ওয়াচের মধ্যে সঠিকভাবে সিঙ্ক্রোনাইজেশন করা সম্ভব। আপনি যদি ইতোমধ্যেই আইফোন ব্যবহার করেন, তবে ম্যাকবুকের সাথে আপনি সহজেই কল এবং মেসেজিং, ফাইল শেয়ারিং, এবং অন্যান্য কাজ করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাপল হ্যান্ডঅফ ফিচার ব্যবহার করে, আপনি একটি অ্যাপের কাজ আইফোন থেকে ম্যাকবুকে এবং তার বিপরীতও করতে পারবেন।

15. কর্মক্ষেত্রে এবং পড়াশোনায় উপযোগিতা

নতুন ম্যাকবুক (MacBook) কেনার সময় যেসব ফিউচার জানা দরকার ম্যাকবুকের পারফরম্যান্স এবং সুবিধার কারণে এটি পেশাদার এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। আপনি যদি প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক ডিজাইন,

ভিডিও এডিটিং বা ফটোগ্রাফি করতে চান, তবে ম্যাকবুক তার উচ্চমানের সফটওয়্যার এবং উন্নত পারফরম্যান্সের জন্য আদর্শ। একদিকে যেমন ম্যাকবুক ক্রিয়েটিভ প্রফেশনালদের জন্য উপযোগী, তেমনি এটি সাধারণ অফিস কাজ, ওয়ার্কফ্লো ম্যানেজমেন্ট এবং বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্যও খুবই কার্যকর। এমনকি ম্যানেজমেন্ট এবং মার্কেটিং সেক্টরেও ম্যাকবুক জনপ্রিয়।

16. অ্যাপল এক্সেসরিজ

আপনি যখন নতুন ম্যাকবুক কিনবেন, তখন অ্যাপল এর এক্সেসরিজ যেমন ম্যাজিক মাউস, ম্যাজিক কীবোর্ড, এবং অ্যাপল টিভি মেম্বারশিপের কথা ভাবতে পারেন। এই এক্সেসরিজগুলো ম্যাকবুকের সাথে ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয় এবং এটি আপনার ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে। ম্যাজিক মাউস এবং কীবোর্ডের ডিজাইন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করার সময়ও আপনি আরামদায়ক অনুভব করেন। এছাড়া, অ্যাপল পেনসিল এবং আইপ্যাডের সঙ্গে ম্যাকবুকের সমন্বয়ে কাজ করারও সুবিধা রয়েছে।

17. নতুন প্রযুক্তির সংযোজন

বর্তমানে, অ্যাপল বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার ম্যাকবুককে আরও উন্নত করছে। ম্যাকবুক প্রো মডেলগুলোতে নতুন M1 ও M2 চিপসেট যোগ করার মাধ্যমে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি গ্রাফিক্স এবং ব্যাটারি লাইফেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটিয়েছে। অ্যাপল চিপসেট ব্যবহারের ফলে ম্যাকবুকটি অনেক দ্রুত, শক্তিশালী, এবং ব্যাটারি সাশ্রয়ী হয়েছে। এতে রয়েছে এক্সক্লুসিভ শক্তিশালী কোর আর্কিটেকচার যা ভিডিও এডিটিং এবং 3D গ্রাফিক্স ডিজাইনসহ অন্যান্য হাই-এন্ড কাজের জন্য উপযুক্ত।

18. পরিবেশগত দিক

নতুন ম্যাকবুক (MacBook) কেনার সময় যেসব ফিউচার জানা দরকার অ্যাপল তাদের ডিভাইসগুলোকে পরিবেশবান্ধব করে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এটি ম্যাকবুকের নির্মাণে ব্যবহার করে পুনর্ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম, তামা, এবং অন্যান্য উপকরণ। কোম্পানি তার ডিভাইসগুলোতে শক্তি সাশ্রয়ী উপাদান এবং সোলার শক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। নতুন ম্যাকবুক মডেলগুলোর এনার্জি এফিসিয়েন্সি নিশ্চিত করে পরিবেশ রক্ষার দিকেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

19. দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণ

ম্যাকবুকের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্যও এটি অত্যন্ত কার্যকর। যদিও ম্যাকবুকের প্রাথমিক মূল্য কিছুটা বেশি, তবে দীর্ঘকালীন ব্যবহারে এটি খুবই টেকসই এবং লাভজনক। আপনি যদি একটি ভাল কেয়ার এবং রক্ষণাবেক্ষণ প্রদান করেন, তবে এটি বছরের পর বছর আপনার সঙ্গী হতে পারে।

অ্যাপল এর অপারেটিং সিস্টেম নিয়মিত আপডেট পায়, এবং নতুন ফিচারগুলোর সংযোজন ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে। এছাড়া, অ্যাপলের সার্ভিস সেন্টার এবং কাস্টমার সাপোর্টও খুবই সহায়ক এবং উন্নত, যা আপনাকে যেকোনো প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে।

20. ব্যবহারকারীদের মতামত

অ্যাপল এর ম্যাকবুক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সাধারণত খুবই ভালো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে ম্যাকবুকের ব্যবহার তাদের জন্য খুবই সহজ, এবং এটি তাদের কাজের দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করেছে। আপনি যদি একাধিক ডিভাইস এবং সিস্টেম ব্যবহার করেন, তাহলে অ্যাপলের এক্সেসিবিলিটি এবং পারফরম্যান্সের কারণে আপনি ম্যাকবুকটি সহজেই আপনার দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন।

21. প্রযুক্তিগত সাপোর্ট এবং আপডেট

অ্যাপল সাধারণত তার ডিভাইসগুলোর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে সফটওয়্যার আপডেট প্রদান করে, যা অন্য ব্র্যান্ডের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে দীর্ঘ। নতুন ম্যাকবুক কেনার পরও আপনি কয়েক বছর ধরে অপারেটিং সিস্টেমের নতুন আপডেট এবং ফিচার পাবেন।

আরো পড়ুনঃ অ্যান্ড্রয়েড বা স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি বিষয় আপনাকে জানতে হবে

এটা ম্যাকবুক ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বড় সুবিধা, কারণ এটি তাদের ডিভাইসকে সর্বশেষ প্রযুক্তির সাথে আপডেট রাখতে সহায়ক। অ্যাপল সাধারণত ৫-৭ বছর পর্যন্ত ম্যাকবুকের জন্য নতুন সফটওয়্যার আপডেট প্রদান করে, যা দীর্ঘমেয়াদে আপনার ম্যাকবুককে আরও কার্যকরী রাখে।

এছাড়া, যদি আপনার ম্যাকবুকের কোনো সমস্যা থাকে, তবে অ্যাপল এর বিশ্বব্যাপী সাপোর্ট নেটওয়ার্ক এবং অ্যাপল স্টোরে সার্ভিস সুবিধা পাওয়া যায়। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি অতিরিক্ত সুবিধা, যেখানে আপনি সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন। আপনি ফোন, ইমেল বা অ্যাপল সাপোর্ট অ্যাপ ব্যবহার করে দ্রুত সেবা নিতে পারেন।

22. ম্যাকবুকের দাম এবং ভ্যালু

নতুন ম্যাকবুক (MacBook) কেনার সময় যেসব ফিউচার জানা দরকার ম্যাকবুকের দাম সাধারণত অন্য ব্র্যান্ডের তুলনায় একটু বেশি হতে পারে, তবে এর পারফরম্যান্স এবং উন্নত ফিচারের কারণে এটি একটি ভালো বিনিয়োগ। বিশেষ করে যদি আপনি পেশাদার বা সৃজনশীল কাজ করেন, তাহলে ম্যাকবুকের দাম অবশ্যই সার্থক হবে।

অ্যাপল প্রতিটি ম্যাকবুক মডেলের জন্য প্রিমিয়াম বিল্ড এবং এক্সক্লুসিভ টেকনোলজি প্রদান করে, যা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের ডিভাইসে পাওয়া যায় না। যেমন, অ্যাপল চিপসেট, রেটিনা ডিসপ্লে, এবং দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ এর মত ফিচারগুলো এই দামকে উপযুক্ত করে তোলে।

যদিও দাম তুলনামূলকভাবে বেশি, তবে আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে এটি ব্যবহার করেন এবং এর সর্বোচ্চ সুবিধা নেন, তবে এটি একটি শক্তিশালী পণ্যের সাথে আপনার বিনিয়োগের জন্য যথার্থ মূল্য দেয়। পাশাপাশি, ম্যাকবুকের দ্বিতীয় হাত বিক্রি দামও তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে, যা পরবর্তীতে বিক্রি করে আপনি কিছু অর্থ ফেরত পেতে পারেন।

23. ম্যাকবুক এয়ার বনাম ম্যাকবুক প্রো

ম্যাকবুক এয়ার এবং ম্যাকবুক প্রো দুটি অন্যতম জনপ্রিয় মডেল। আপনার প্রয়োজন এবং বাজেটের উপর নির্ভর করে, আপনি এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। ম্যাকবুক এয়ার মূলত হালকা ও পাতলা ডিজাইনের জন্য পরিচিত এবং এটি সাধারণ অফিস কাজ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, এবং লাইট মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য আদর্শ। অন্যদিকে, ম্যাকবুক প্রো অত্যন্ত শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং বৃহৎ ডিসপ্লে সহ আসে, যা গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং অন্যান্য হাই-এন্ড কাজের জন্য উপযুক্ত।

আপনি যদি সাধারণ কাজের জন্য একটি ল্যাপটপ চান, তবে ম্যাকবুক এয়ার আপনার জন্য সঠিক হবে, তবে যদি আপনি আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্স চান, তাহলে ম্যাকবুক প্রো আপনার জন্য উপযুক্ত। এছাড়া, নতুন M1 বা M2 চিপসেট দুই মডেলেই সমানভাবে সেরা পারফরম্যান্স প্রদান করে, তবে ম্যাকবুক প্রো আরও বেশি প্রসেসিং পাওয়ার এবং উন্নত গ্রাফিক্স উপভোগ করার সুযোগ দেয়।

24. আইওএস এবং ম্যাকবুক এক্সপেরিয়েন্স

ম্যাকবুকের আরেকটি অসাধারণ সুবিধা হচ্ছে আইওএস এবং macOS এর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন এক্সপেরিয়েন্স। আপনি যখন আইফোন বা আইপ্যাড ব্যবহার করেন, তখন ম্যাকবুকের সঙ্গে সেই সব ডিভাইস সহজেই সিঙ্ক হয়ে যাবে এবং আপনি অ্যাপ্লিকেশন এবং ডেটা দ্রুত শেয়ার করতে পারবেন। এটি এক ধরনের এক্সটেনশন এবং আপনার কাজকে আরও প্রোডাক্টিভ করতে সাহায্য করবে।

ফাইলগুলি iCloud এর মাধ্যমে সিঙ্ক করে, আপনি আপনার সব ডিভাইসে একই ফাইল অ্যাক্সেস করতে পারবেন, যা কাজের দক্ষতা বাড়ায়। তাছাড়া, আপনি আইফোন থেকে ম্যাকবুক এ কল রিসিভ করতে পারেন বা মেসেজ পাঠাতে পারেন। এই এক্সপেরিয়েন্সটি Apple Ecosystem ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা, যা অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় অ্যাপলকে আলাদা করে।

25. কেন ম্যাকবুক বেছে নেওয়া উচিত?

ম্যাকবুক কেনার কারণ অনেক রয়েছে। এর চমৎকার পারফরম্যান্স, টেকসই বিল্ড কোয়ালিটি, অসাধারণ ডিসপ্লে, দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ, এবং নিরাপত্তা ফিচারগুলো সব মিলিয়ে এটি একটি আদর্শ ল্যাপটপ। এছাড়া, অ্যাপলের সফটওয়্যার সিস্টেম এবং ইকোসিস্টেমের সঙ্গে এর সিঙ্ক্রোনাইজেশন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও কার্যকরী করে তোলে।

এছাড়া, আপনি যদি এমন একজন ব্যবহারকারী হন যিনি দীর্ঘমেয়াদে একটি টেকসই এবং উচ্চমানের ল্যাপটপ চান, তাহলে ম্যাকবুক নিঃসন্দেহে আপনার জন্য সেরা বিকল্প। এর উন্নত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি, এটি ব্যাবহার করা খুবই সহজ এবং সুরক্ষিত। অনেক পেশাদারদের মতে, ম্যাকবুক তাদের কর্মক্ষমতা উন্নত করেছে এবং তাদের কাজের ধারাকে আরও স্মুথ করেছে।

26. ভবিষ্যত প্রযুক্তি এবং উন্নতি

অ্যাপল সবসময় তার ডিভাইসে নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করতে চেষ্টা করে এবং ভবিষ্যতে ম্যাকবুকের আরও উন্নত ফিচার দেখা যেতে পারে। যেমন, অ্যাপল আগামী দিনে তার চিপসেটগুলোর আরও উন্নতি করতে পারে, যা আরও দ্রুত পারফরম্যান্স এবং কম শক্তি খরচ নিশ্চিত করবে। ইতিমধ্যেই, M1 এবং M2 চিপসেট অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে, তবে ভবিষ্যতে অ্যাপল তার চিপসেটগুলোকে আরও শক্তিশালী এবং শক্তিশালী করতে কাজ করছে।

এছাড়া, ম্যাকবুকের ডিসপ্লে প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও আরও উন্নতি আশা করা যায়। অ্যাপল রেটিনা ডিসপ্লে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, তবে ভবিষ্যতে এটি আরও উন্নত হতে পারে, যেমন মিনি-LED বা OLED স্ক্রীন প্রযুক্তির ব্যবহারে ডিসপ্লে পারফরম্যান্স আরও উন্নত হবে।

অ্যাপল ইতিমধ্যেই নতুন প্রযুক্তি যেমন অ্যাপল সিলিকন এবং নতুন সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের একটি উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে ম্যাকবুক এমন কিছু নতুন প্রযুক্তির সাথে আসবে, যা ডিজাইন, পারফরম্যান্স, এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে।

27. নানান ধরণের প্রোফেশনাল কাজের জন্য ম্যাকবুক

ম্যাকবুক শুধুমাত্র একটি পেশাদার ল্যাপটপ নয়, এটি সৃজনশীল শিল্পের ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বিশেষ করে গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, 3D মডেলিং, অ্যানিমেশন, অডিও প্রোডাকশন, এবং বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং এর জন্য এটি আদর্শ।

আরো পড়ুনঃ আইফোন (Apple) কেনার সময় যে সকল বিষয় জানা জরুরি

অ্যাপল ম্যাকবুক এর জন্য কয়েকটি শক্তিশালী সফটওয়্যার সমর্থন করে, যেমন অ্যাডোবি ক্রিয়েটিভ স্যুট, ফাইনাল কাট প্রো, লজিক প্রো এক্স, Xcode ইত্যাদি। এই সফটওয়্যারগুলো ম্যাকবুকের শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং উন্নত গ্রাফিক্স সমর্থন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা আপনাকে উচ্চমানের কাজের অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

গ্রাফিক ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য, ম্যাকবুক প্রো তার শক্তিশালী GPU এবং Retina ডিসপ্লে দ্বারা ব্যবহারকারীদের দক্ষতা এবং সৃষ্টি করার সুযোগ প্রদান করে। ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য, ফাইনাল কাট প্রো একটি অসাধারণ সফটওয়্যার যা ম্যাকবুকের মাধ্যমে দ্রুত রেন্ডারিং এবং প্রোফেশনাল লেভেলের কাজ করতে সাহায্য করে। এছাড়া, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের জন্যও ম্যাকবুক অনন্য, কারণ Xcode প্ল্যাটফর্মটি শুধুমাত্র macOS এর জন্য তৈরি করা হয়েছে।

28. মিডিয়া এবং এন্টারটেইনমেন্ট

ম্যাকবুকের ডিসপ্লে, স্পিকার সিস্টেম এবং সাউন্ড কোয়ালিটি মিডিয়া এবং এন্টারটেইনমেন্টের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত। আপনি যদি সিনেমা, টিভি শো, অথবা উচ্চমানের ভিডিও কনটেন্ট দেখতে চান, তবে ম্যাকবুকের রেটিনা ডিসপ্লে এবং ৩D স্পিকার সিস্টেম নিশ্চিতভাবে আপনার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

ম্যাকবুকের চারপাশের ডিজাইন এবং উন্নত সফটওয়্যার যেমন ম্যাকওএসের থিয়েটার মোড, আপনাকে একটি অসাধারণ মাল্টিমিডিয়া এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করবে। এছাড়া, অ্যাপল টিভি, আইটিউনস এবং ফটো অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার মিডিয়া কন্টেন্টগুলি এক্সেস করতে পারেন।

আপনি যদি একটি গেমার হন, তবে ম্যাকবুকের সঙ্গেও কিছু উচ্চমানের গেম খেলতে পারবেন, তবে এটি ডেডিকেটেড গেমিং ল্যাপটপের তুলনায় কিছুটা সীমাবদ্ধ হতে পারে। তবে, M1 এবং M2 চিপসেটের ফলে ম্যাকবুক বর্তমানে গেমিংয়ের জন্য কিছুটা ভালো পারফরম্যান্স প্রদর্শন করতে সক্ষম।

29. সফটওয়্যার ও অ্যাপ সাপোর্ট

ম্যাকবুক ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেন, এবং ম্যাকওএস সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের কাজ আরও সুবিধাজনক হয়ে ওঠে। অ্যাপল এর নিজস্ব সফটওয়্যার যেমন Pages, Keynote, এবং Numbers ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই উপযোগী, বিশেষ করে যারা অফিস এবং ডকুমেন্ট প্রক্রিয়াকরণ কাজ করেন।

এছাড়া, অ্যাপ স্টোর থেকে আপনি হাজার হাজার সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ম্যাকবুকের পারফরম্যান্স আরও বৃদ্ধি করতে পারেন। অ্যাপল এর সফটওয়্যার সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো একসাথে কাজ করে ম্যাকবুকের সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য একটি অভিন্ন এবং সহজ অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

ম্যাকবুকের আরও একটি বিশেষ ফিচার হলো সফটওয়্যার নিরাপত্তা। অ্যাপল নিয়মিতভাবে macOS সফটওয়্যার আপডেট করে থাকে, এবং এটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সুরক্ষিত এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে। এটি স্ক্যাম, ভাইরাস, এবং অন্যান্য ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা করার জন্য শক্তিশালী নিরাপত্তা প্রটোকল ব্যবহার করে।

30. ম্যাকবুক কেনার পরে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

ম্যাকবুক কেনার পর, আপনি কিছু অতিরিক্ত বিষয় বিবেচনা করতে পারেন, যেমন সঠিক কেস বা কভার নির্বাচন করা, যা ম্যাকবুকের সুরক্ষা এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে। আপনি যদি বহনযোগ্যতা এবং নিরাপত্তা চান, তবে একটি ভালো ল্যাপটপ ব্যাগ বা কেস রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, আপনি বিভিন্ন ধরনের এক্সেসরিজ যেমন ব্লুটুথ মাউস, কীবোর্ড, এবং ইউএসবি হাব ব্যবহার করে আপনার অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে পারেন।

ম্যাকবুক ব্যবহার করার সময় আপনার কাজের ধরন এবং প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে সঠিক সিস্টেম সেটিংস নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, আপনি যদি কোডিং বা ডেভেলপমেন্ট করেন, তবে সঠিক ডেভেলপমেন্ট টুলস ইনস্টল করা উচিত। অন্যদিকে, আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন, তবে প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যার যেমন অ্যাডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার কাজের গতি এবং দক্ষতা আরও বাড়াতে পারেন।

31. ম্যাকবুকের সাথে সহায়তাকারী অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন

যখন আপনি নতুন ম্যাকবুক কিনবেন, তখন শুধুমাত্র হার্ডওয়্যার নয়, বরং কিছু প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন এবং সফটওয়্যার নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাপল এর অ্যাপ স্টোরে এমন অনেক অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা আপনার কাজের গতি এবং পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি লেখালেখি বা প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে চান, তবে Pages, Keynote এবং Microsoft Office 365 ব্যবহার করে সহজেই কাজ করতে পারবেন। এছাড়া, গ্রাফিক ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য, অ্যাডোবি ক্রিয়েটিভ স্যুট (Photoshop, Illustrator, Premiere Pro) এবং Final Cut Pro X অসাধারণ সফটওয়্যার অপশন হিসেবে কাজ করবে।

ম্যাকবুকের সাথে ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট টুলস, যেমন Xcode, কোডিং এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে।

এটি আপনার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং কাস্টম অ্যাপ তৈরি করার প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেয়। আরও কিছু অ্যাপ যেমন Dropbox, Google Drive, এবং OneDrive আপনার ক্লাউড স্টোরেজের ব্যবস্থা আরও সহজ করে তোলে, যেগুলি যেকোনো স্থান থেকে আপনার ফাইল অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করবে।

এছাড়া, ম্যাকবুকের সাথে কিছু বিশেষ অ্যাপ যেমন Siri, Apple Maps, এবং FaceTime সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত থাকে যা আপনার প্রতিদিনের জীবনে সুবিধা নিয়ে আসে। Siri ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন কাজ অটোমেটিকভাবে করতে পারেন, যেমন মেসেজ পাঠানো, ইমেইল চেক করা,

আরো পড়ুনঃ অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময় যে ৪০ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

বা রিমাইন্ডার সেট করা। একইভাবে, FaceTime অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সহজে ভিডিও কল করতে পারেন, যা বিশেষভাবে অ্যাপলের ইকোসিস্টেমে থাকা অন্যান্য ডিভাইসের সাথে সহজে একত্রিত হয়।

32. ম্যাকবুকের সাথে পোর্টেবিলিটি এবং মোবিলিটি

একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ কেন মানুষ ম্যাকবুক কেনার সিদ্ধান্ত নেয় তা হলো এর পোর্টেবিলিটি। ম্যাকবুক এয়ার তার পাতলা এবং হালকা ডিজাইনের জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়, যা যেকোনো স্থান থেকে সহজেই বহন করা যায়। এটি বিশেষভাবে ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত যারা তাদের ল্যাপটপকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান, যেমন ব্যবসায়ী পেশাদার, শিক্ষার্থী, বা যারা ঘরের বাইরে কাজ করেন।

ম্যাকবুক প্রো, যদিও কিছুটা ভারী, তবে তা এখনও সহজেই বহনযোগ্য এবং দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার জন্য আদর্শ। অ্যাপল এর মডেলগুলোর মধ্যে ব্যাটারি লাইফ অন্যতম শক্তিশালী দিক। ম্যাকবুকের উন্নত ব্যাটারি প্রযুক্তি আপনার কাজের সময় আরও দীর্ঘায়িত করে এবং চার্জের জন্য বারবার পাওয়ার সাপ্লাই খুঁজতে হবে না। এটি বিশেষভাবে দীর্ঘ সফর, লম্বা মিটিং এবং ট্রাভেলিং পেশাদারদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

এছাড়া, অ্যাপল এর ম্যাকবুক মডেলগুলিতে ফাস্ট চার্জিং ফিচারও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ম্যাকবুক এয়ার বা ম্যাকবুক প্রো তে আপনি কম সময়েই চার্জ শেষ করতে পারেন এবং দ্রুত কাজ শুরু করতে পারেন। এই সুবিধা কাজের ব্যস্ত সময়ের মধ্যে খুবই উপকারী হতে পারে।

33. ম্যাকবুকের মাধ্যমে সঠিক কাজের পরিবেশ তৈরি

একটি প্রোডাকটিভ কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য, আপনি ম্যাকবুকের সাহায্যে একাধিক ডিভাইস যুক্ত করতে পারেন। যেমন, আপনি ম্যাকবুকের সাথে বাহ্যিক মনিটর, কীবোর্ড এবং মাউস সংযোগ করতে পারেন, যা আপনার কাজের গতি এবং সুষ্ঠুতা বাড়িয়ে তুলবে। খুব সহজেই আপনি একটি পিসি ডেস্কটপের মতো অভিজ্ঞতা পাবেন, তবে এই কাজের পরিবেশটি আরও পরিপূর্ণ হবে, কারণ আপনি মোবিলিটি এবং শক্তিশালী প্রযুক্তির সুবিধা পাবেন।

ম্যাকবুক ব্যবহার করে আপনি ডুয়াল মনিটর সেটআপও করতে পারবেন, যা আপনার মাল্টিটাস্কিং সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। যেমন, আপনি একটি স্ক্রীনে রিসার্চ বা ডকুমেন্ট ওপেন করতে পারেন এবং অন্য স্ক্রীনে ইমেইল বা সিকোয়েন্স করে যেতে পারেন। এছাড়া, ম্যাকবুকের সহজ ইউজার ইন্টারফেস এবং টাচপ্যাডের স্নিগ্ধতা আপনাকে আরও দ্রুত কাজ করতে সহায়তা করবে।

34. ম্যাকবুকের নিরাপত্তা এবং প্রাইভেসি

অ্যাপল সবসময় তার ডিভাইসগুলোর নিরাপত্তা এবং প্রাইভেসির দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে থাকে। ম্যাকবুকেও আপনি উচ্চমানের সুরক্ষা ফিচার পাবেন, যেমন এনক্রিপশন, টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন, এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর (Touch ID)। এর ফলে, আপনার ডেটা সুরক্ষিত থাকে এবং আপনি সহজেই পাসওয়ার্ড বা পিন ছাড়াই লগইন করতে পারেন।

এছাড়া, অ্যাপল এর macOS অপারেটিং সিস্টেমে কিছু প্রাথমিক সিকিউরিটি ফিচার রয়েছে যা আপনাকে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার এবং অন্যান্য হুমকি থেকে রক্ষা করবে। অ্যাপল সিস্টেমে সর্বশেষ সিকিউরিটি আপডেটগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইন্সটল হয়, তাই আপনাকে নিরাপত্তা ফিচারগুলি ম্যানুয়ালি আপডেট করার চিন্তা করতে হবে না। এটি এক ধাপ আরও নিশ্চিত করে যে আপনার ম্যাকবুক সর্বদা সুরক্ষিত এবং নিরাপদ থাকবে।

35. ম্যাকবুকের দীর্ঘস্থায়িত্ব এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্যতা

ম্যাকবুকের একটি বড় সুবিধা হলো এর দীর্ঘস্থায়িত্ব। একবার কেনার পর এটি বছরের পর বছর আপনাকে সেবা দিতে পারে যদি সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া হয়। অন্যান্য ল্যাপটপের তুলনায়, অ্যাপল এর ম্যাকবুক অনেক বেশি টেকসই এবং দৃঢ়। এর অ্যালুমিনিয়াম বডি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যেতে পারে, এবং আপনি সহজেই এর কাজের পারফরম্যান্স দেখতে পাবেন।

অ্যাপল ম্যাকবুকের রিসেল ভ্যালু (দ্বিতীয় হাত বিক্রি মূল্য) অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। আপনি যদি ভবিষ্যতে আপনার ম্যাকবুকটি বিক্রি করতে চান, তাহলে এটি ভালো দাম পেতে সহায়ক হবে। এর মানে হলো, আপনি যদি মনে করেন যে আপনার ম্যাকবুক আর প্রয়োজন নেই, তবে এটি পুনরায় বিক্রি করে কিছুটা টাকা ফেরত পেতে পারেন।

উপসংহার

নতুন ম্যাকবুক (MacBook) কেনার সময় যেসব ফিউচার জানা দরকার, তা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করেছি যে, ম্যাকবুক কেনা শুধু একটি প্রযুক্তি ডিভাইস কেনা নয়, বরং এটি একটি শক্তিশালী পেশাদার এবং সৃজনশীল উপকরণ হতে পারে। ম্যাকবুকের শক্তিশালী পারফরম্যান্স, উন্নত সফটওয়্যার ইকোসিস্টেম, টেকসই ডিজাইন, উচ্চমানের ব্যাটারি লাইফ এবং নিরাপত্তা ফিচারগুলোর কারণে এটি বর্তমানে একটি বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় ল্যাপটপ অপশন।

যেহেতু ম্যাকবুক দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত এবং অ্যাপল এর প্রতি সঙ্গতি এবং সফটওয়্যার আপডেটের সুবিধা ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করে, এটি একটি উচ্চমানের ডিভাইস হিসেবে বিবেচিত। তাই, আপনি যদি একটি প্রিমিয়াম ল্যাপটপ খুঁজছেন যা আপনার কাজের গতি, সৃজনশীলতা এবং দৈনন্দিন জীবনে কার্যকর হবে, তবে নতুন ম্যাকবুক আপনার জন্য একটি সেরা পছন্দ হতে পারে। বাংলাআরটিকেল.কম এর সম্পূর্ণ পোস্টি পরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আরো জানতে ক্লিক করুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url