অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময় যে ৪০ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময় অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিটি মানুষই বর্তমানে অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করে থাকে, এবং বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোন বাজারে উপলব্ধ।

অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময় যে ৪০ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

কিন্তু যখন নতুন অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার কথা আসে, তখন কিছু বিশেষ বিষয় খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। আপনি যদি নতুন অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই এই ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে জানানো উচিত। এতে আপনাকে মোবাইল কেনার সময় কোনো ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত না নিতে সাহায্য করবে।

ভুমিকাঃ

অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল বর্তমানে আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। আধুনিক পৃথিবীতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা প্রতিটি মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে। ফোনটি শুধুমাত্র যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং এটি আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের সহায়ক, বিনোদনের উৎস, ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার সহায়ক এবং তথ্য সংগ্রহের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এর ফলে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হয়ে উঠেছে, যা ছাড়া আমাদের অনেক কাজ অসম্পূর্ণ থাকতে পারে।

পোস্ট সুচিপত্রঃবর্তমানে, অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইলের বিভিন্ন মডেল এবং ব্র্যান্ড বাজারে উপলব্ধ রয়েছে, যা প্রতিদিন নতুন প্রযুক্তি এবং ফিচার নিয়ে আপডেট হচ্ছে। তাই, যখন নতুন অ‍্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার কথা আসে, তখন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হয়। একদিকে যেমন বাজারে প্রচুর মোবাইল ফোন পাওয়া যায়, তেমনি ফোনের বৈশিষ্ট্য এবং ফিচারগুলোও অনেক ভিন্ন। নতুন ফোন কিনতে গেলে, যদি সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তবে আপনি হয়তো এমন একটি ফোন বেছে নেবেন যা আপনার প্রয়োজনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, বা সেই ফোনের কিছু ফিচার আপনার ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়।

অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময় আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সঠিক অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল নির্বাচন করা একেবারে সহজ কাজ নয়। তবে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে সচেতন হলে আপনি একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। বিশেষ করে, ফোনের পারফরম্যান্স, ক্যামেরা, ব্যাটারি লাইফ, ডিসপ্লে এবং সফটওয়্যার আপডেটের মতো বিষয়গুলো আপনার ফোনের অভিজ্ঞতাকে সুনির্দিষ্টভাবে প্রভাবিত করবে। এর পাশাপাশি, ফোনের ডিজাইন, স্টোরেজ, সিকিউরিটি ফিচার, এবং অন্যান্য অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য যেমন ওয়্যারলেস চার্জিং বা ৫জি সাপোর্টের মতো নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়গুলোও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া, মোবাইল ব্র্যান্ডের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। যেমন, স্যামসাং, শাওমি, রিয়েলমি, অপো, ভিভো এবং গুগল পিক্সেল, এদের প্রতিটি ব্র্যান্ডের রয়েছে তাদের নিজস্ব সফটওয়্যার ইন্টারফেস, আপডেট পদ্ধতি এবং সাপোর্ট সিস্টেম। সঠিক ব্র্যান্ড নির্বাচন করার মাধ্যমে আপনি ফোনের দীর্ঘমেয়াদী সাপোর্ট এবং গ্যারান্টি সুবিধা পেতে পারেন। তাই, শুধুমাত্র ফোনের দাম এবং বাহ্যিক ডিজাইন দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ফোনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো যেমন সফটওয়্যার আপডেট, গ্রাহক সেবা, এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারযোগ্যতার দিকগুলোও মনে রাখতে হবে।

অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময় যে ৪০টি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত, সেগুলো আপনাকে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। এ বিষয়ে আপনি বিস্তারিতভাবে জানলে, আপনার জন্য একটি উপযুক্ত এবং শক্তিশালী মোবাইল ফোন নির্বাচন করতে সহজ হবে। তাই, যদি আপনি নতুন অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে এই ৪০টি দিকের মধ্যে প্রতিটি বিষয় আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং আপনাকে একটি ভালো ফোন কিনতে সহায়তা করবে, যা আপনার দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য আদর্শ।

১. বাজেট নির্ধারণ করুন

মোবাইল ফোন কেনার আগে প্রথমেই আপনার বাজেট ঠিক করে নিন। বাজারে অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইলের বিভিন্ন রেঞ্জ রয়েছে, তাই আপনার বাজেট অনুযায়ী সঠিক ফোন বেছে নেওয়া সহজ হবে। বাজেটের মধ্যে থাকলে আপনি একটি ভালো ফোন পেতে পারেন, তবে খুব কম বাজেটে কখনোই অত্যন্ত উচ্চমানের ফোন আশা করবেন না।

২. ব্র্যান্ডের গুরুত্ব

অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইলের বাজারে অনেক ব্র্যান্ড রয়েছে, তবে সেরা ব্র্যান্ডগুলি আপনার ফোনের পারফরম্যান্স এবং বিল্ড কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে সহায়ক। স্যামসাং, শাওমি, রিয়েলমি, অপো, ভিভো, পোকো, এইচটিসি, নোকিয়া এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে থেকে একটি সঠিক ব্র্যান্ড নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।

৩. ডিসপ্লে সাইজ ও রেজ্যুলেশন

মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে সাইজ এবং রেজ্যুলেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি গেমিং বা ভিডিও স্ট্রিমিং ভালোভাবে উপভোগ করতে চান, তাহলে একটি বড় এবং উচ্চ রেজ্যুলেশন ডিসপ্লে প্রয়োজন। বর্তমানে বেশিরভাগ মোবাইলেই Full HD বা 4K রেজ্যুলেশন পাওয়া যায়।

৪. প্রসেসর (Chipset)

প্রসেসর বা চিপসেট একটি মোবাইল ফোনের মস্তিষ্ক হিসেবে কাজ করে। একে ছাড়া ফোনের কর্মক্ষমতা অনেকটাই ধীর হয়ে যাবে। যদি আপনি গেমিং, মাল্টিটাস্কিং বা ভারী অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে চান, তাহলে শক্তিশালী প্রসেসর (যেমন Snapdragon সিরিজ বা MediaTek Dimensity) থাকা প্রয়োজন।

৫. RAM এবং স্টোরেজ

আপনার ফোনে RAM এবং স্টোরেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমপক্ষে ৪GB RAM ও ৬৪GB স্টোরেজ আপনার ফোনে থাকতে হবে। যদিও ৮GB RAM বা ১২GB RAM বর্তমানে অনেক ফোনে উপলব্ধ, যা গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য আরও ভালো। একইভাবে, স্টোরেজ বাড়ানোর জন্য SD card সাপোর্ট থাকা ফোনগুলোও দেখতে পারেন।

৬. ক্যামেরার কিউয়ালিটি

বর্তমানে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। আপনি যদি ভালো ছবি তুলতে চান, তাহলে ক্যামেরার মেগাপিক্সেল সংখ্যা ছাড়াও, লেন্সের গুণগত মান, অটোফোকাস, অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (OIS), এবং নাইট মোড ফিচারের দিকে নজর দিতে হবে।

৭. ব্যাটারি লাইফ

ব্যাটারি লাইফ একটি অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। একটি ভালো ব্যাটারি ফোনের জন্য ৪,০০০ mAh থেকে ৫,০০০ mAh পর্যন্ত ব্যাটারি হওয়া উচিত। দীর্ঘ সময় ধরে ফোন ব্যবহার করার জন্য আপনাকে উচ্চ ক্ষমতার ব্যাটারি নিশ্চিত করতে হবে।

৮. সফটওয়্যার আপডেটস

এটা নিশ্চিত করুন যে, আপনি যে অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইলটি কিনছেন, সে ফোনের সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট পাবে। অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা এবং পারফরম্যান্স বজায় রাখতে সফটওয়্যার আপডেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৯. ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ফেস আনলক

ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ফেস আনলক সুবিধা আপনার ফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। অনেক মোবাইল ফোনে এই সুবিধাগুলি পাওয়া যায়, তবে কিছু ফোনে এগুলি আরো দ্রুত এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

১০. 5G সাপোর্ট

বর্তমানে 5G প্রযুক্তি অনেক দেশে জনপ্রিয় হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বেশি ব্যবহৃত হবে। তাই যদি আপনি আগামী কয়েক বছর ধরে ফোন ব্যবহার করতে চান, তাহলে 5G সাপোর্টসহ ফোন কেনার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করুন।

১১. নেটওয়ার্ক এবং কানেকটিভিটি

মোবাইল ফোন কেনার আগে, আপনি যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন, সেগুলোর সাথে ফোনের সামঞ্জস্যতা পরীক্ষা করে নিন। Wi-Fi, Bluetooth, GPS, এবং NFC-এর মতো অন্যান্য সংযোগ প্রযুক্তি থাকা উচিত।

আরো পড়ুনঃ ড্রোন ক্যামেরা কেনার সময় যে ২৪ বিষয় আপনার জানতে হবে জেনে নিন বিস্তারিত

১২. বিল্ড কোয়ালিটি

মোবাইল ফোনের বিল্ড কোয়ালিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফোনের গঠনশৈলী এবং শক্তি আপনার ফোনের দীর্ঘস্থায়িত্বে প্রভাব ফেলতে পারে। অ্যালুমিনিয়াম বা গ্লাস ডিজাইন আরও টেকসই এবং প্রিমিয়াম দেখায়।

১৩. ওয়াটার রেসিস্ট্যান্স এবং ডাস্ট রেসিস্ট্যান্স

অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময়, যদি আপনি আরও নিরাপত্তা চান, তাহলে IP68 বা সমমানের ওয়াটার রেসিস্ট্যান্স এবং ডাস্ট রেসিস্ট্যান্স রেটিংযুক্ত ফোন নির্বাচন করুন। এতে আপনার ফোন পানিতে পড়ে গেলে বা ধুলোবালি থেকে রক্ষা পাবে।

১৪. এক্সট্রা ফিচার

বিভিন্ন ব্র্যান্ড এক্সট্রা ফিচার যুক্ত করে থাকে যেমন, ডুয়েল স্পিকার, উচ্চমানের অডিও, অথবা AI ফিচারসমূহ। এগুলি আপনার মোবাইল ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে।

১৫. মূল্য এবং অফার

অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময়, কখনও কখনও বিক্রেতারা আকর্ষণীয় অফারও প্রদান করে থাকে। সেল, ডিসকাউন্ট, বা ক্যাশব্যাক অফারগুলি আপনার মোবাইল কেনার খরচ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

১৬. গ্লোবাল রিভিউ এবং রেটিং

আপনি যে ফোনটি কিনতে যাচ্ছেন, তার গ্লোবাল রিভিউ এবং রেটিং যাচাই করে দেখুন। অন্য ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ও মতামত আপনাকে ফোনটি সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পারে।

১৭. পোর্টেবল চার্জার এবং এক্সেসরিজ

অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময়, এটি খেয়াল রাখুন যে ফোনের জন্য সঠিক চার্জার এবং এক্সেসরিজ পাওয়া যাচ্ছে কিনা। অনেক ফোনের জন্য প্রিমিয়াম এক্সেসরিজ পাওয়া যায় যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে।

১৮. মোবাইল ফোনের পরিষেবা

প্রতিটি ফোনের পরিষেবা এবং সার্ভিস সেন্টার নেটওয়ার্কও গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিশ্চিত করুন যে, আপনার শহরে বা অঞ্চলে ফোনের সার্ভিস সেন্টার রয়েছে, যাতে সমস্যা হলে সহজেই পরিষেবা পেতে পারেন।

১৯. ডিভাইসের আপগ্রেড সুবিধা

অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইলের নতুন ভার্সন বা ফিচার আপগ্রেডের জন্য আপনাকে নতুন ডিভাইস বা সিস্টেমের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকতে হবে।

২০. সঠিক সময় নির্বাচন

মোবাইল ফোন কেনার সঠিক সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। যখন নতুন ফোন বাজারে আসবে, তখন পুরনো মডেলগুলি সাধারণত কম দামে পাওয়া যায়।

এগুলি ছিলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে। ফোনটি নির্বাচিত করার পর, এসব গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিশ্চিতভাবে যাচাই করে নিলে, আপনার ফোনের ব্যবহার অভিজ্ঞতা অনেক ভালো হবে।

২১. ব্যাটারি চার্জিং স্পিড

আজকাল ফোনে ব্যাটারি দ্রুত চার্জ করার প্রযুক্তি রয়েছে। কিছু মোবাইলে ১৮W, ২৫W, ৫০W বা তারও বেশি ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি পাওয়া যায়। মোবাইল কেনার সময় এটি নিশ্চিত করুন যে, ফোনটির ব্যাটারি চার্জিং স্পিড আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী যথেষ্ট দ্রুত। যদি আপনি ব্যস্ত জীবনযাপন করেন এবং দ্রুত ফোন চার্জ করতে চান, তাহলে উচ্চ গতির চার্জিং প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২২. কাস্টম ইউজার ইন্টারফেস

অনেক অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে কাস্টম ইউজার ইন্টারফেস (UI) থাকে, যেমন স্যামসাং-এর One UI, শাওমির MIUI, অথবা রিয়েলমির Realme UI। এই কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে ফোনের পারফরম্যান্স, ফিচার এবং ফাংশনালিটি আরও উন্নত করা হয়। ইউজার ইন্টারফেসের ব্যবহারের সুবিধা এবং সৌন্দর্য আপনার ফোনের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে পারে।

২৩. অ্যাপ সাপোর্ট এবং সংস্করণ

অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনের একটি প্রধান সুবিধা হলো, এটি Google Play Store থেকে হাজার হাজার অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে পারে। আপনি যে অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করতে চান তা নিশ্চিত করুন যে আপনার ফোনে সেগুলোর সর্বশেষ সংস্করণ সমর্থিত। কিছু ফোনে পূর্ববর্তী অ‍্যান্ড্রয়েড ভার্সন থাকলে নতুন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা কঠিন হতে পারে।

২৪. নিরাপত্তা ফিচার

অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে নিরাপত্তা ফিচারগুলোর মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেস আনলক, এনক্রিপশন, মালওয়্যার স্ক্যানার এবং পার্সোনাল ডেটা প্রটেকশন সিস্টেম রয়েছে। যদি আপনি আপনার ফোনে পাসওয়ার্ড বা ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করেন, তবে এই ফিচারগুলো নিশ্চিতভাবে থাকা উচিত।

২৫. সাউন্ড কোয়ালিটি

আপনি যদি গান শোনেন বা ভিডিও দেখেন, তবে মোবাইল ফোনের সাউন্ড কোয়ালিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু ফোনে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার বা এইচডি অডিও সিস্টেম থাকে, যা আপনাকে ভালো শব্দ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। সাউন্ড কোয়ালিটির জন্য সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি থাকা ফোন পছন্দ করুন।

২৬. গেমিং পারফরম্যান্স

যদি আপনি মোবাইলে গেম খেলতে পছন্দ করেন, তাহলে গেমিং পারফরম্যান্স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। গেমিংয়ের জন্য শক্তিশালী গ্রাফিক্স এবং প্রসেসর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ রিফ্রেশ রেট ডিসপ্লে (যেমন ৯০Hz, ১২০Hz) এবং শক্তিশালী GPU সমর্থিত ফোনগুলো আপনার গেমিং অভিজ্ঞতা আরও ভালো করবে।

২৭. স্টাইলিশ ডিজাইন

ফোনের ডিজাইন বর্তমানে অনেক গুরুত্ব পাচ্ছে। মোবাইলের স্টাইল এবং আউটলুক আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হওয়া উচিত। যদি আপনি ভালো ডিজাইন পছন্দ করেন, তাহলে সেরা ডিজাইনসহ ফোনের নির্বাচন করুন। গ্লাস বা ধাতু দিয়ে তৈরি প্রিমিয়াম ডিজাইন ফোন আপনাকে একটি প্রিমিয়াম অনুভূতি প্রদান করতে পারে।

২৮. কাস্টম ROM এবং ROOTING

অনেক অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য কাস্টম ROM এবং রুটিং সাপোর্ট রয়েছে, যা আপনাকে ফোনের সফটওয়্যার পরিবর্তন বা কাস্টমাইজ করার সুযোগ দেয়। তবে, রুটিংয়ের মাধ্যমে ফোনের warranty হারানো এবং ফোনে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়তে পারে, তাই এই দিকটি খেয়াল রাখতে হবে।

২৯. ভার্সন এবং সফটওয়্যার সুবিধা

অ‍্যান্ড্রয়েড ভার্সনও গুরুত্বপূর্ণ। সর্বশেষ অ‍্যান্ড্রয়েড ভার্সন (যেমন Android 13 বা 14) ফোনে থাকা উচিত, কারণ এতে সর্বশেষ ফিচার এবং নিরাপত্তা আপডেট পাওয়া যায়। কিছু ফোন পুরনো ভার্সনে থাকার কারণে নতুন ফিচার সমর্থন নাও করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ডিয়েসেলার (DSLR) ক্যামেরা কেনার সময় কি কি বিষয় আপনার মনে রাখতে হবে

৩০. আন্ডার-ডিসপ্লে ক্যামেরা

কিছু নতুন অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে আন্ডার-ডিসপ্লে ক্যামেরা প্রযুক্তি রয়েছে, যেখানে সেলফি ক্যামেরা ডিসপ্লের নিচে লুকানো থাকে। এটি ফোনের ডিজাইন আরও উন্নত করে এবং স্ক্রীনের উপর কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয়।

৩১. ফ্ল্যাগশিপ বনাম মিড-রেঞ্জ

ফ্ল্যাগশিপ ফোন এবং মিড-রেঞ্জ ফোনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ফ্ল্যাগশিপ ফোন সাধারণত আরও শক্তিশালী প্রসেসর, উন্নত ক্যামেরা, এবং বিল্ড কোয়ালিটির দিক থেকে উন্নত হয়, তবে এগুলি সাধারণত বেশি দামি হয়। মিড-রেঞ্জ ফোনগুলো তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী, তবে এর পারফরম্যান্স কিছুটা কম হতে পারে।

৩২. পোর্টেবল অ্যাকসেসরিজ

একটি ফোন কেনার সময়, পোর্টেবল অ্যাকসেসরিজ যেমন ইয়ারফোন, পাওয়ার ব্যাংক, ফোন কভার এবং স্ক্রীন প্রটেক্টরও সঙ্গে নেওয়া উচিত। এই অ্যাকসেসরিজ আপনার ফোনের নিরাপত্তা এবং অভিজ্ঞতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

৩৩. পর্যালোচনা এবং রেটিং

মোবাইল কেনার আগে তার পর্যালোচনা এবং রেটিং যাচাই করুন। অনলাইনে পাওয়া গ্রাহকদের রিভিউ এবং বিশ্লেষণ আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করতে পারে। আপনি যদি অন্যদের অভিজ্ঞতা জানেন, তাহলে আপনার পছন্দের ফোন সম্পর্কে আরও সঠিক ধারণা পাবেন।

৩৪. টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব উপকরণ

বেশ কিছু অ‍্যান্ড্রয়েড ব্র্যান্ড এখন পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই উপকরণ ব্যবহার করে ফোন তৈরি করছে। আপনি যদি পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হন, তবে এই ধরনের ফোন বিবেচনা করা হতে পারে।

৩৫. অ‍্যান্ড্রয়েড এক্সটেনশান ও ফিচার

কিছু অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে নতুন এক্সটেনশান বা বৈশিষ্ট্য আসে, যেমন উন্নত অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিচার, থার্মাল কন্ট্রোল এবং আরো অনেক কিছু। এই ধরনের অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য আপনার ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে পারে।

৩৬. কাস্টম সার্ভিস এবং টেকনোলজি সাপোর্ট

সঠিক কাস্টম সেবা এবং টেকনোলজি সাপোর্টও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে ফোনটি কিনবেন, তার জন্য যদি দ্রুত এবং সহায়ক গ্রাহক সেবা এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করুন।

৩৭. প্রিমিয়াম বা বাজেট ফোন

বাজেট ফোনগুলি সাধারণত সস্তা থাকে, তবে তাদের পারফরম্যান্স এবং বৈশিষ্ট্য কিছুটা কম হতে পারে। অন্যদিকে, প্রিমিয়াম ফোনের দাম বেশি হলেও এগুলির পারফরম্যান্স এবং বিল্ড কোয়ালিটি আরও উন্নত থাকে। আপনার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী সঠিক ফোন বেছে নিন।

৩৮. ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (VR) এবং অগমেন্টেড রিয়ালিটি (AR)

যদি আপনি VR বা AR প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চান, তাহলে এমন ফোন নির্বাচন করুন যা এই প্রযুক্তিগুলি সাপোর্ট করে। VR বা AR ফোনের মাধ্যমে আপনি আরও উন্নত গেমিং এবং এন্টারটেইনমেন্ট অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।

৩৯. সেলফি ক্যামেরার কোয়ালিটি

সেলফি ক্যামেরা আজকাল একটি অন্যতম জনপ্রিয় বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে। যদি আপনি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন, তাহলে ভালো সেলফি ক্যামেরা ফিচার থাকা ফোন বেছে নিন। বর্তমান সেলফি ক্যামেরায় AI প্রযুক্তি এবং নাইট মোডও পাওয়া যায়।

৪০. ব্যবহৃত ফোন কিনতে সতর্কতা

অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনতে গেলে পুরনো বা ব্যবহৃত ফোন কিনতে চাইলে সতর্ক থাকতে হবে। ফোনটি কোন অবস্থায় আছে, সেটির বেটারি হেলথ এবং কাজের অবস্থা পরীক্ষা করুন। ব্যবহার করা ফোনে কোনো সমস্যা থাকলে তা ফেরত নেওয়া বা পরিবর্তন করাও কঠিন হতে পারে।

৪১. সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি ফিচার

অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময় সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি ফিচারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নতুন অ‍্যান্ড্রয়েড ভার্সনগুলো উন্নত সিকিউরিটি ব্যবস্থা যেমন ডাটা এনক্রিপশন, মালওয়্যার স্ক্যানিং এবং অ্যাপ পারমিশন কন্ট্রোল অফার করে। আপনি যদি অনলাইনে ব্যাংকিং বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ডেটা সংরক্ষণ করেন, তবে আপনার ফোনে এই সিকিউরিটি ফিচারগুলো থাকা উচিত।

৪২. সিম কার্ড এবং নেটওয়ার্ক সাপোর্ট

বর্তমানে অনেক অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে ডুয়াল সিম সাপোর্ট থাকে, যা আপনাকে একে অধিক নমনীয়তা দেয়। আপনি যদি দুটি সিম ব্যবহার করেন, তবে এমন একটি ফোন নির্বাচন করুন যা ডুয়াল সিম সাপোর্ট করে। একইভাবে, মোবাইলের নেটওয়ার্ক সাপোর্ট (২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি) কনফিগারেশনও গুরুত্বপূর্ণ।

৪৩. গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং ভয়েস কন্ট্রোল

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং ভয়েস কন্ট্রোল আধুনিক অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনের গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। আপনি যদি আপনার ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করতে চান, যেমন কল করা, বার্তা পাঠানো, বা অ্যাপ চালানো, তবে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ভয়েস কন্ট্রোল সাপোর্ট করে এমন ফোন বেছে নিন।

৪৪. ফোনের রিফ্রেশ রেট

ফোনের ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেট পারফরম্যান্সে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৬০Hz, ৯০Hz, ১২০Hz বা তারও বেশি রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে গেমিং, স্ক্রোলিং বা ভিডিও স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতা আরও স্মুথ এবং দ্রুততর করে। যদি আপনি গেমিং বা ভারী ব্যবহারকারী হন, তবে উচ্চ রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে নির্বাচন করুন।

৪৫. ডার্ক মোড এবং UI কাস্টমাইজেশন

অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে ডার্ক মোড একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফিচার, যা রাতে ব্যবহারকারীকে চোখের চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, UI কাস্টমাইজেশন ব্যবহারকারীদের ফোনের ইন্টারফেসটি নিজেদের মতো সাজানোর সুযোগ দেয়। আপনি যদি ফোনে ব্যক্তিগত টাচ দিতে চান, তবে কাস্টমাইজেশন সুবিধা রয়েছে এমন ফোন পছন্দ করুন।

আরো পড়ুনঃ আমি এখন কোথায় আছি গুগল ম্যাপের মাধ্যমে জানার উপায়

৪৬. ফোনের ভেতরের হার্ডওয়্যার

ফোনের হার্ডওয়্যার যেমন মাদারবোর্ড, গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU), এবং সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU) ফোনের সামগ্রিক কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ফোনে আরও দ্রুত এবং স্মুথ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে, বিশেষ করে গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের ক্ষেত্রে।

৪৭. অক্সিলারি ফিচার

অনেক অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপার, থিম, ইমোজি এবং বিশেষ স্টিকার সমর্থিত থাকে, যা আপনার ফোনের অভিজ্ঞতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। যদি আপনি এগুলোর প্রতি আগ্রহী হন, তবে সেই ধরনের ফোন নির্বাচন করুন যা এই ধরনের অক্সিলারি ফিচার অফার করে।

৪৮. সাইজ এবং ওয়েট

ফোনের সাইজ এবং ওজনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বড় ফোনগুলো অনেক সময় ভারী হতে পারে, যা হাতে ধরতে অস্বস্তিকর হতে পারে। আপনি যদি ছোট বা মাঝারি সাইজের ফোন পছন্দ করেন, তবে সেই দিকটি বিবেচনা করুন। সঠিক সাইজ এবং ওজনের ফোন আপনার ব্যবহারিক অভিজ্ঞতাকে আরও আরামদায়ক করবে।

৪৯. ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট

বর্তমানে বেশ কিছু অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট পাওয়া যায়, যা ফোন চার্জ করতে সহজ এবং সুবিধাজনক। যদি আপনি এমন একটি ফোন চান, যা ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে, তবে সেসব মডেলগুলি দেখুন। এটি আপনার চার্জিং অভিজ্ঞতাকে আরও আধুনিক ও আরামদায়ক করবে।

৫০. অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন ও ফিচার

অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনের কিছু বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন এবং ফিচার থাকে, যা আপনার ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে। উদাহরণস্বরূপ, স্মার্ট ফোনের জন্য Google Lens, Google Pay, Samsung Pay, অথবা Xiaomi-এর MIUI এফেক্টস, সিকিউরিটি ফিচার, এবং ফাইল ম্যানেজমেন্টের নতুন ফিচারগুলো একত্রিত হয়ে থাকে।

৫১. ফোনের সাউন্ড সেটিংস এবং EQ ফিচার

অনেক অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে উচ্চমানের সাউন্ড ফিচার থাকে, যেমন হারমান কার্ডন, ডলবি অ্যাটমস অথবা DTS সাউন্ড প্রযুক্তি। আপনি যদি ভাল সাউন্ড অভিজ্ঞতা চান, তবে আপনার ফোনে সাউন্ড কাস্টমাইজেশন, ইকুইলাইজার (EQ) ফিচার ও অন্যান্য সাউন্ড প্রযুক্তি থাকা উচিত।

৫২. ভয়েস মেমো এবং রেকর্ডিং সুবিধা

কিছু অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে ভয়েস রেকর্ডিং বা মেমো তৈরির সুবিধা অনেক উন্নত। যদি আপনি কোনও ব্যক্তিগত নোট অথবা মিটিং রেকর্ড করতে চান, তবে সেই ধরনের ফোন নির্বাচন করুন যেগুলো উচ্চমানের ভয়েস রেকর্ডিং সুবিধা প্রদান করে।

৫৩. সেবা ও অ্যাপ্লিকেশন ইন্টিগ্রেশন

ফোনের সেবা এবং অ্যাপ্লিকেশন ইন্টিগ্রেশনও গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কিছু অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন একত্রে ব্যবহার করা সহজ এবং স্মুথ হয়ে থাকে, যেমন Google Assistant, Google Drive, বা OneDrive ইন্টিগ্রেশন।

৫৪. স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স বুস্টিং প্রযুক্তি

যখন আপনি আপনার ফোনের পারফরম্যান্স উন্নত করতে চান, তখন ফোনে থাকা স্মার্ট বুস্টিং প্রযুক্তি যেমন "Game Turbo" বা "Performance Mode" সহ ফোন নির্বাচন করুন। এই ধরনের ফিচার গেমিং বা মাল্টিটাস্কিং করার সময় ফোনের পারফরম্যান্স বাড়িয়ে দেয়।

৫৫. স্মার্টওয়াচ এবং অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসের সাপোর্ট

অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনের সঙ্গে স্মার্টওয়াচ, স্মার্টব্যান্ড বা অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসের ইন্টিগ্রেশনও গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি একটি স্মার্টওয়াচ বা অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করতে চান, তবে এমন একটি ফোন নির্বাচন করুন যা এসব ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারে।

৫৬. ফোনের সংস্করণ এবং সাপোর্ট

একটি অ‍্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় ফোনের সংস্করণ এবং তার সাপোর্টের বিষয়টি খেয়াল রাখুন। অনেক ফোনে এক বছরের মধ্যে সফটওয়্যার আপডেট বা ফিচার বর্ধিত করা হয়, তবে কিছু ফোনে এ ধরনের সাপোর্ট কম হতে পারে। আপনি এমন একটি ফোন কিনুন যেটি দীর্ঘ সময় সফটওয়্যার আপডেট পাবে।

৫৭. রিভিউ এবং তুলনা

আপনার পছন্দের অ‍্যান্ড্রয়েড ফোন কিনার আগে, অন্যদের রিভিউ এবং তুলনা করে দেখতে পারেন। অনলাইন রিভিউ, ভিডিও রিভিউ এবং ব্যবহারকারীদের মতামত আপনার ফোনের বিষয়ে সঠিক ধারণা পেতে সাহায্য করবে। এই রিভিউগুলো আপনাকে ফোনের পেশাদার এবং কমজোরি দিকগুলো সম্পর্কে জানাতে সাহায্য করবে।

৫৮. লেটেস্ট প্রযুক্তি সমর্থন

আপনার অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে সর্বশেষ প্রযুক্তি থাকতে হবে, যেমন ৫জি, ব্লুটুথ ৫.০, এবং নতুন প্রকারের ওয়্যারলেস চার্জিং। এই প্রযুক্তিগুলির সঙ্গে সঠিকভাবে সঙ্গতি রেখে ফোন ব্যবহার করতে হবে যাতে আপনি ভবিষ্যতে সুবিধা পেতে পারেন।

৫৯. অপারেটিং সিস্টেম ও ফিচার

অ‍্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নতুন ভার্সন এবং ফিচারও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর অ‍্যান্ড্রয়েড নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসে, যেমন অ্যান্ড্রয়েড ১৩ বা ১৪ এর ফিচার। তাই সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম সংস্করণ থাকা ফোনই বেছে নিন।

৬০. ফোনের অবস্থা ও ডেলিভারি পদ্ধতি

বাজারে নতুন ফোন কেনার সময় তার অবস্থা এবং ডেলিভারি পদ্ধতির দিকে নজর দিন। অনলাইনে বা দোকানে কেনার সময় পণ্যটি ক্ষতিগ্রস্ত বা অপর্যাপ্ত অবস্থায় না পৌঁছায় তা নিশ্চিত করুন।

আরো পড়ুনঃ ভূমিকম্প অনুভূত কেন হয় এবং ভূমিকম্প নিয়ে বিজ্ঞান কি বলে

এই ৪০টি বিষয় খেয়াল রেখে আপনি একটি সঠিক অ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা মোবাইলটি বেছে নিতে সক্ষম হবেন, যা দীর্ঘদিন ধরে ভালোভাবে কাজ করবে এবং আপনার প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ করবে। বাংলাআরটিকেল.কম এর সম্পূর্ণ পোস্টি পরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আরো জানতে ক্লিক করুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url