জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ডাক্তারের তালিকা
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (NCRI) বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, যা ক্যান্সার রোগ নিরাময় এবং গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে পরিচিত।
এই হাসপাতালটি দেশের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ভরযোগ্য ও উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে। আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গড়ে উঠা এই প্রতিষ্ঠানটি ক্যান্সার শনাক্তকরণ, চিকিৎসা এবং গবেষণার কাজে সর্বদা নিয়োজিত।
পোস্ট সুচিপত্রঃ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটএখানে স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, ব্লাড ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়। এ ছাড়া, গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং রোগ প্রতিরোধের নতুন উপায় উদ্ভাবনে কাজ করা হয়।
এই প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং গবেষকরা দলবদ্ধভাবে কাজ করে ক্যান্সারের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন এবং রোগীর নিরাময়ের নতুন পন্থা খুঁজে বের করতে সচেষ্ট। তাদের মধ্যে কেউ ক্যান্সার সার্জারি, কেউ কেমোথেরাপি,
আবার কেউ রেডিওথেরাপি বা ইমিউনোথেরাপিতে দক্ষতা অর্জন করেছেন। প্রতিটি রোগীর জন্য আলাদা করে চিকিৎসা পরিকল্পনা করা হয়, যাতে তাদের সুস্থতার সম্ভাবনা বাড়ে। এখানে ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য বিশেষায়িত বিভাগ রয়েছে,
যেমন মেডিকেল অনকোলজি, সার্জিকাল অনকোলজি, রেডিয়েশন অনকোলজি এবং হেমাটোলজি। প্রতিটি বিভাগে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম রয়েছে যা আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ প্রদান করে। এখানে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ক্যান্সার রোগ নিরাময় ও গবেষণার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে হাতে কলমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ব্রেইন ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি এবং ব্রেইন ক্যান্সারের প্রতিকার
শিক্ষার্থীরা গবেষণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং নতুন নতুন ওষুধের উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখতে পারে। এটি বাংলাদেশের চিকিৎসা ও গবেষণা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আজকের এই আর্টিকেলে, আমরা ক্যান্সার নিরাময়ে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের তালিকা এবং তাদের দক্ষতার উপর বিস্তারিত আলোচনা করব। এখানে বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত বিশেষজ্ঞরা ক্যান্সার রোগীদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাদের মধ্যে কেউ আছেন যারা ক্যান্সার সার্জারিতে বিশেষভাবে পারদর্শী, আবার কেউ আছেন যারা কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপিতে বিশেষজ্ঞ। তাদের প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে, যা রোগীদের সুচিকিৎসা ও নিরাময়ের জন্য অপরিহার্য।
এ ছাড়া, এখানে চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা, সেমিনার এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে ক্যান্সার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয় এবং রোগ প্রতিরোধের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
সার্বিকভাবে, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (NCRI) দেশের ক্যান্সার রোগীদের জন্য একটি আলোকবর্তিকা। এখানকার চিকিৎসক, গবেষক ও স্টাফরা মিলে একসঙ্গে কাজ করে রোগীদের সুস্থতার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তাঁদের নিরলস পরিশ্রম ও দক্ষতার ফলেই অনেক রোগী সুস্থ জীবনে ফিরে আসার সুযোগ পাচ্ছে। ক্যান্সারের চিকিৎসা ও গবেষণায় এই প্রতিষ্ঠানটির অবদান সত্যিই প্রশংসনীয়।
ক্যান্সার গবেষণার গুরুত্ব ও হাসপাতালের ভূমিকা
ক্যান্সার হলো একটি মারাত্মক রোগ যা শরীরের কোষগুলোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিভাজনের ফলে সৃষ্টি হয়। এই অস্বাভাবিক কোষগুলো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা রোগীর জীবনের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে।
ক্যান্সার যদি সঠিক সময়ে শনাক্ত এবং চিকিৎসা না করা হয়, তবে এটি মারাত্মক রূপ নিতে পারে। এই কারণে ক্যান্সার গবেষণা এবং উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে ক্যান্সার নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (NCRI), যা দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র।
এই প্রতিষ্ঠানটি ক্যান্সার রোগীদের জন্য নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করার পাশাপাশি, গবেষণার মাধ্যমে নতুন ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ক্যান্সারের বিভিন্ন প্রকারভেদ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য এখানে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়,
যা রোগীদের সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করতে সহায়তা করে। এই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ক্যান্সার নিরাময়ের ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রয়োগ করে রোগীদের সুস্থ জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করছেন।
আরো পড়ুনঃ লেবু: প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর গোপন রহস্য
NCRI তে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, মস্তিষ্কের ক্যান্সার, ব্লাড ক্যান্সারসহ আরও অনেক ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়। আধুনিক স্ক্যানিং এবং পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত এবং সঠিকভাবে ক্যান্সার শনাক্ত করা হয়, যা রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন MRI, CT স্ক্যান, PET স্ক্যান, বায়োপসি ইত্যাদির মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং কার্যকর হয়েছে। ক্যান্সার শনাক্ত করার পর রোগীর শারীরিক অবস্থা, ক্যান্সারের পর্যায় এবং ধরন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।
এখানে কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি, সার্জারি এবং ইমিউনোথেরাপির মতো বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। প্রতিটি চিকিৎসা পদ্ধতিরই নিজস্ব সুবিধা এবং প্রয়োগ ক্ষেত্র রয়েছে, যা রোগীদের অবস্থা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। যেমন,
কেমোথেরাপি সাধারণত এমন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যা শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, রেডিয়েশন থেরাপি শরীরের নির্দিষ্ট অংশে থাকা ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করতে সহায়ক।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ক্যান্সার নিরাময়ের পাশাপাশি গবেষণার ওপরও গুরুত্বারোপ করে থাকে। এখানে গবেষকরা ক্যান্সারের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করে, যেমন ক্যান্সারের জীববিজ্ঞান, রোগ প্রতিরোধ এবং নতুন ওষুধের উদ্ভাবন।
তাদের গবেষণার ফলাফল নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভাবনে সহায়ক, যা ক্যান্সার রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা প্রদান করতে পারে। গবেষণার মাধ্যমে ক্যান্সারের কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাওয়া সম্ভব হয়েছে, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
এ ছাড়া, এই প্রতিষ্ঠানটি ক্যান্সার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা, সেমিনার এবং প্রশিক্ষণ আয়োজন করে থাকে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন করা হয়,
যাতে রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা যায় এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়। ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যত দ্রুত রোগ শনাক্ত করা যাবে, রোগীর নিরাময়ের সম্ভাবনা ততই বেশি থাকে। তাই, সময়মতো ক্যান্সার শনাক্ত এবং সঠিক চিকিৎসা শুরু করার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।
এছাড়াও, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ প্রদান করে থাকে। শিক্ষার্থীরা এখান থেকে ক্যান্সার চিকিৎসা এবং গবেষণার আধুনিক পদ্ধতি শিখে নিতে পারে, যা তাদের ভবিষ্যৎ চিকিৎসক হিসাবে দক্ষ হতে সাহায্য করে।
এতে করে দেশের চিকিৎসা খাতের উন্নতি হয় এবং আরও দক্ষ চিকিৎসক তৈরি হয়, যারা ক্যান্সার রোগীদের জন্য নতুন আশার আলো হয়ে উঠতে পারেন।
সার্বিকভাবে, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (NCRI) বাংলাদেশের ক্যান্সার রোগীদের জন্য একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এখানে আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ চিকিৎসক এবং গবেষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রোগীদের সঠিক এবং আধুনিক চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।
ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং গবেষণার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত, যা ক্যান্সার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে সহায়ক। তাদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই অনেক ক্যান্সার রোগী সুস্থ হয়ে নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছেন।
এখনও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেক দূর যেতে হবে, কিন্তু জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এই লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তি, গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে ক্যান্সার নিরাময়ের নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবিত হচ্ছে, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।
ডাক্তারদের তালিকা এবং তাদের বিশেষজ্ঞতা
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (NCRI) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র, যেখানে বিভিন্ন বিভাগের অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা কর্মরত আছেন। প্রতিটি বিভাগেই নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় দক্ষ চিকিৎসক দল রয়েছে, যারা রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে উন্নত চিকিৎসা প্রদান পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে নিবিড়ভাবে কাজ করেন। এখানে রোগীদের সেবা প্রদান এবং নিরাময় নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ও চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যা এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি করেছে।
NCRI-এর কিছু উল্লেখযোগ্য বিভাগের মধ্যে রয়েছে মেডিকেল অনকোলজি, সার্জিকাল অনকোলজি, রেডিয়েশন অনকোলজি এবং হেমাটোলজি। প্রতিটি বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা রয়েছেন যারা ক্যান্সারের নির্দিষ্ট ধরন এবং চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর দক্ষতা অর্জন করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, মেডিকেল অনকোলজি বিভাগে কেমোথেরাপি এবং অন্যান্য ওষুধ নির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতি পরিচালনা করেন অভিজ্ঞ ডাক্তাররা। তারা প্রতিটি রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেন, যাতে সুস্থতার সম্ভাবনা বাড়ে।
সার্জিকাল অনকোলজি বিভাগে রয়েছে ক্যান্সার সার্জারিতে বিশেষায়িত ডাক্তাররা, যারা স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সারসহ অন্যান্য অঙ্গের ক্যান্সার অপসারণে পারদর্শী। তাদের লক্ষ্য হলো ক্যান্সার আক্রান্ত অংশগুলো সফলভাবে অপসারণ করা এবং রোগীর শরীর থেকে ক্যান্সার কোষ সম্পূর্ণভাবে দূর করা।
রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগে বিশেষজ্ঞরা উন্নত রেডিয়েশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করেন, যা শরীরের নির্দিষ্ট অংশে ক্যান্সার নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর। রেডিয়েশন থেরাপি মূলত এমন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ক্যান্সার পুরোপুরি অপসারণ সম্ভব নয় বা সার্জারির পর অবশিষ্ট থাকা ক্ষুদ্র কোষগুলো ধ্বংস করতে হয়।
হেমাটোলজি বিভাগে রক্তের ক্যান্সার যেমন লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা এবং মায়েলোমার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা কাজ করেন। তারা আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে রোগীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। এই বিভাগের চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় ব্লাড ট্রান্সফিউশন, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টসহ আরও জটিল চিকিৎসা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত রোগীদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। প্রতিটি বিভাগের ডাক্তারই তাদের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ এবং রোগীদের সুস্থ করতে তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করে থাকেন। এখানে রোগী ও তার পরিবারের মানসিক স্বস্তির দিকটিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়, যাতে চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের মানসিক সাপোর্টও নিশ্চিত করা যায়।
ঢাকার সেরা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকাঃ
ডাঃ গিরীন চন্দ্র বিশ্বাস
এমবিবিএস (এসএসএমসি), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (সার্জিক্যাল অনকোলজি)। ব্রেস্ট কলোরেক্টাল, পাকস্থলী, ব্রোন টিউমার ও জেনারেল সার্জন বিশেষজ্ঞ- স্যার সলিমুল্লহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা। কনসালটেন্ট (অনকোলজিস্ট)- জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
ডাঃ আরিফুল হক
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (অনকোলজি)। আবাসিক সার্জন ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ (রেডিওলজি বিভাগ) - ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।
ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (অনকোলজি)। মেডিসিন ও রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট- মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।টিউমার ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ- জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
ডাঃ আনোয়ার হোসেন
এমবিবিএস (ডিএমসি), এমডি (মেডিকেল অনকোলজি)। কনসালটেন্ট (মেডিকেল অনকোলজি বিভাগ)- জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহীদুল ইসলাম জাহিন
এমবিবিএস, ডিএমআরটি, পিএইচডি। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। সহযোগী অধ্যাপক (অনকোলজি বিভাগ) - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল বারি
এমবিবিএস (ঢাকা), এমফিল (রেডিওথেরাপী)। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। চেয়ারম্যান (ক্লিনিক্যাল অনকোলজি)- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
অধ্যাপক ডাঃ স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
এমবিবিএস, এমডি, এমফিল। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। পরিচালক ও অধ্যাপক- জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোখলেছ উদ্দিন
এমবিবিএস, এফসিপিএস। প্রাক্তন অধ্যাপক (রেডিওথেরাপি) - চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম।
অধ্যাপক ডাঃ শেখ গোলাম মোস্তফা
এমবিবিএস, এফসিপিএস, জিটিসি (জাপান, ফ্রান্স), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফেলো (বাংকক)। উচ্চতর প্রশিক্ষণ (আমেরিকা ও জার্মানী)। প্রাক্তন পরিচালক ও অধ্যাপক (রেডিয়েশন অনকোলজী বিভাগ)- জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
আরো পড়ুনঃ কেমোথেরাপি: কী, কেন এবং কিভাবে দেওয়া হয়? বিস্তারিত জানুন
সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মিনহাজ ভূইয়া
এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারী), এমআরসিএস (ইডেনবার্গ), এমএস (ক্যানসার সার্জারী)। সহযোগী অধ্যাপক- জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
ডাঃ হাফিজুল ইসলাম
এমবিবিএস, এমডি (অনকোলজি) - ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন
এমবিবিএস (সিইউ), এমআরসিপি (ইউকে)। সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিন ও অনকোলজী) আইচি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
ডাঃ সোনিয়া রহমান
এমবিবিএস (ঢাকা), এমসিপিএস, এফসিপিএস (সার্জারি), এআরসিএস (এডিনবরা), এমএস (সার্জিক্যাল অনকোলজি)। জেনারেল, কোলোরেক্টাল, ব্রেস্ট ও ক্যান্সার সার্জন। কনসালটেন্ট - জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
ডাঃ শারমিন বিল্লাহ
এমবিবিএস (ডিএমসি), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (অনকোলজী)। রেজিস্টার, (রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগ)- জাতীয় ক্যান্সার গবেষনা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আসিফ একরাম
এমবিবিএস, এমফিল (রেডিওথেরাপী)। সহকারী অধ্যাপক (ক্যান্সার বিভাগ) -উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
সহযোগী অধ্যাপক লেঃ কর্নেল ডাঃ হারুন অর রশিদ
এমবিবিএস, এফসিপিএস (ইউরোলজি), এএফএসিএস (ইউএসএ)। ইউরোলজিস্ট, ইউরো-অনকোলজিস্ট ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন। সহযোগী অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান (ইউরোলজি বিভাগ) - সিএমএইচ ও আর্মি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
সহকারী অধ্যাপক ডাঃ দেওয়ান এম হাসান
এমবিবিএস, ডিএলও (ঢাকা)। উচ্চতর প্রশিক্ষণ: হেড নেক সার্জারি (হংকং), সাইনাস সার্জারি (ভারত)। সহকারী অধ্যাপক, ইএনটি অনকোলজি - জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
ডাঃ এম জাহিদ হোসেন
এমবিবিএস, ডিএমআরটি, ডিসিএম, ক্যান্সার ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ডাঃ মোঃ শাহিন ফেরদৌস
এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি (অনকোলজি), ডিপার্টমেন্ট অব রেডিয়েশন অনকোলজি - ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড হাসপাতাল, মহাখালী।
১. সার্জিক্যাল অঙ্কোলজি (সার্জারি বিশেষজ্ঞ)
সার্জিক্যাল অঙ্কোলজিস্টরা প্রধানত ক্যান্সারের টিউমার অপসারণে দক্ষ। এই বিভাগের ডাক্তাররা রোগীদের জন্য ক্যান্সার অপারেশনের সময় বিভিন্ন ধরনের সার্জারি করে থাকেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন ডাক্তার হলেন:
- ডা. মোহাম্মদ হোসেন - বিশেষজ্ঞ, ব্রেস্ট ক্যান্সার সার্জারি।
- ডা. সায়মা আফরোজ - লিভার এবং প্যানক্রিয়াস ক্যান্সারের সার্জারি বিশেষজ্ঞ।
২. মেডিক্যাল অঙ্কোলজি (ঔষধ নির্ভর ক্যান্সার চিকিৎসা)
মেডিক্যাল অঙ্কোলজিস্টরা প্রধানত কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি এবং অন্যান্য ঔষধভিত্তিক চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার নিরাময়ে কাজ করেন। এই বিভাগে কর্মরত কিছু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হলেন:
- ডা. আজিজুর রহমান - হেমাটোলজিক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ।
- ডা. ফাহিমা সুলতানা - স্তন ক্যান্সার ও কেমোথেরাপি বিশেষজ্ঞ।
৩. রেডিয়েশন অঙ্কোলজি (রেডিয়েশন নির্ভর চিকিৎসা)
রেডিয়েশন অঙ্কোলজিস্টরা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে রেডিয়েশন থেরাপি ব্যবহার করেন। এই বিভাগে দক্ষ ডাক্তারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:
- ডা. মাহফুজুর রহমান - ফুসফুস ক্যান্সার রেডিয়েশন থেরাপি বিশেষজ্ঞ।
- ডা. নুসরাত জাহান - সার্ভিকাল ও মস্তিষ্কের ক্যান্সারে রেডিয়েশন বিশেষজ্ঞ।
চিকিৎসা সুবিধা ও আধুনিক প্রযুক্তি
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়। এখানে রোগীদের জন্য রয়েছে আধুনিক ল্যাবরেটরি, ইমেজিং সেন্টার এবং চিকিৎসা পরীক্ষার সুবিধা। এছাড়া, ক্যান্সার রোগীদের মানসিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্যও এখানে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। রোগীদের চিকিৎসা চলাকালীন মানসিক ও শারীরিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য সাইকোলজিস্ট এবং কাউন্সিলররাও এখানে কর্মরত আছেন।
নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রম ও নতুন আবিষ্কার
এই ইনস্টিটিউটে নিয়মিত ক্যান্সার গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয় এবং গবেষণার মাধ্যমে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি ও ওষুধের আবিষ্কার করা হয়। এর ফলে ক্যান্সারের চিকিৎসায় উন্নত সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে গবেষণা প্রকল্প চালানো হয়।
রোগীদের জন্য পরামর্শ ও সহায়তা
ক্যান্সার রোগীদের জন্য এই হাসপাতালের ডাক্তাররা নিয়মিত পরামর্শ সেবা দিয়ে থাকেন। রোগের ধরণ ও অবস্থার উপর ভিত্তি করে রোগীকে সঠিক চিকিৎসার দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া, রোগীদের পরিবার ও অভিভাবকদেরও এই সময়ে সহায়তা প্রদান করা হয়।
আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণ
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডাক্তাররা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তারা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্স এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে, যেখানে তারা নতুন প্রযুক্তি ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। এর ফলে, রোগীদের সর্বাধুনিক এবং উন্নতমানের সেবা প্রদান করা সম্ভব হয়।
এছাড়া, এই হাসপাতালে ডাক্তার এবং গবেষকরা ক্যান্সার নিয়ে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর গবেষণা করছেন, যার ফলে ভবিষ্যতে আরও উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যাবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করে।
রোগীদের অভিজ্ঞতা এবং পর্যালোচনা
এখানে চিকিৎসা গ্রহণ করা রোগীদের অভিজ্ঞতা সাধারণত খুবই ইতিবাচক। রোগীরা বলেন, ডাক্তাররা তাদের প্রতি যত্নশীল এবং যথাযথভাবে চিকিৎসা প্রদান করেন। এছাড়া, হাসপাতালের কর্মী ও নার্সরাও রোগীদের সেবা দিতে অত্যন্ত মনোযোগী এবং সহানুভূতিশীল। রোগীরা প্রায়শই হাসপাতালের পরিষেবার প্রশংসা করেন, বিশেষ করে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা, সময়মতো চিকিৎসা সেবা, এবং মানসিক সাপোর্টের জন্য।
আরো পড়ুনঃ ডিপ্রেশন: এর কারণ, লক্ষণ ও মুক্তির কার্যকর উপায়
রোগীরা উল্লেখ করেন, চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ডাক্তাররা তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার প্রতি খেয়াল রাখেন। রোগীদের পরিবারগুলিও চিকিৎসার সময় যেসব পরিষেবা পাওয়া যায় তাতে সন্তুষ্ট থাকে।
ফাইনাল থটস: ক্যান্সারের চিকিৎসায় দক্ষতার প্রতীক
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল শুধু একটি চিকিৎসা কেন্দ্র নয়, এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি প্রতীক। এখানে ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য যেমন উচ্চমানের চিকিৎসা প্রদান করা হয়, তেমনি গবেষণার মাধ্যমে ক্যান্সারের নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়।
এই হাসপাতালের ডাক্তার ও গবেষকরা মিলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন, যা কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, আন্তর্জাতিকভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্যান্সার রোগীদের জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ভবিষ্যতে ক্যান্সারের
উপসংহার
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বাংলাদেশের ক্যান্সার রোগীদের জন্য একটি প্রধান ভরসাস্থল। এখানে কর্মরত ডাক্তাররা ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশ্বমানের সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। এই হাসপাতালের আধুনিক প্রযুক্তি, গবেষণা এবং দক্ষ ডাক্তারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে ক্যান্সারের চিকিৎসায় অগ্রগতি হচ্ছে। বাংলাআরটিকেল.কম এর সম্পূর্ণ পোস্টি পরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আরো জানতে ক্লিক করুন
আমাদের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url