২০২৪ সালের দূর্গা পূজা: কবে থেকে শুরু হচ্ছে এবং সময়সূচি
২০২৪ সালের দূর্গা পূজা: কবে থেকে শুরু হচ্ছে এবং সময়সূচি
দূর্গা পূজা বাঙালির জীবনে এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। প্রতি বছর আশ্বিন মাসে এই মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয় এবং বাঙালি হিন্দুরা মা দূর্গার পূজা করে। ২০২৪ সালের দূর্গা পূজাও আসন্ন, এবং অনেকেই জানতে চাইছেন, "কবে থেকে শুরু হবে ২০২৪ সালের দূর্গা পূজা?" এই পোস্টে আমরা সেই প্রশ্নের উত্তর দিবো এবং পূজার সময়সূচির পাশাপাশি কিছু ঐতিহ্যবাহী তথ্যও শেয়ার করবো।
২০২৪ সালের দূর্গা পূজার তারিখ
দূর্গা পূজা সাধারণত মহালয়ার পর সপ্তমী তিথিতে শুরু হয়। ২০২৪ সালে মহালয়া ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (সোমবার) তারিখে পড়ছে। মহালয়ার পরেই দেবীপক্ষের সূচনা হয়। পূজা আনুষ্ঠানিকভাবে সপ্তমী থেকে শুরু হলেও, ষষ্ঠী তিথি থেকেই পূজার মূল প্রস্তুতি শুরু হয়।
২০২৪ সালের দূর্গা পূজার গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলি:
- মহালয়া: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (সোমবার)
- ষষ্ঠী: ১১ অক্টোবর ২০২৪ (শুক্রবার)
- সপ্তমী: ১২ অক্টোবর ২০২৪ (শনিবার)
- অষ্টমী: ১৩ অক্টোবর ২০২৪ (রবিবার)
- নবমী: ১৪ অক্টোবর ২০২৪ (সোমবার)
- দশমী (বিজয়া দশমী): ১৫ অক্টোবর ২০২৪ (মঙ্গলবার)
পূজার দিনগুলি এবং তাদের গুরুত্ব
মহালয়া
মহালয়া থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষ, এবং এটি মা দূর্গার পৃথিবীতে আগমনের বার্তা বহন করে। মহালয়া দিনেই চণ্ডীপাঠ হয় এবং পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়।
ষষ্ঠী
ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর বোধন হয়, যা পূজার মূল আয়োজনের শুরু। এই দিনেই প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং দেবীর চক্ষুদান হয়।
সপ্তমী
সপ্তমীর দিন আনুষ্ঠানিক পূজা শুরু হয়। সকালবেলায় নবপত্রিকা প্রবেশ করানো হয় এবং তারপর মা দূর্গার পূজা হয়।
অষ্টমী
অষ্টমী হলো দূর্গা পূজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিন সন্ধিপূজা হয় এবং দেবীকে ১০৮ টি প্রদীপ ও ১০৮ টি পদ্মফুল উৎসর্গ করা হয়।
নবমী
নবমীর দিন হচ্ছে মায়ের মহিষাসুর মর্দিনীর রূপের পূজা। এই দিনেও সন্ধ্যায় নানা আচার অনুষ্ঠান পালিত হয়।
দশমী
দশমী বা বিজয়া দশমী দিনটি হলো দেবীর বিসর্জনের দিন। এই দিন মা দূর্গা স্বর্গে ফিরে যান। সিঁদুরখেলা এবং বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় এই দিনের অন্যতম আকর্ষণ।
আরো পরুনঃ কমলা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
পূজার আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসবের মহিমা
দূর্গা পূজার আচার অনুষ্ঠানগুলো খুবই সজীব এবং ঐতিহ্যবাহী। প্রতিটি দিন বিশেষ আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়। পূজার আচারগুলোতে থাকে চণ্ডীপাঠ, অঞ্জলি প্রদান, ধুনুচি নাচ, সিঁদুর খেলা ইত্যাদি। ঢাকের বাদ্যি, শঙ্খধ্বনি, এবং ধূপের গন্ধে মন্দির চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে। এছাড়াও, পূজার দিনগুলোতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্যান্ডেল এবং আলোয় ঝলমল করে ওঠে শহর।
দূর্গা পূজার উৎসবের সাম্প্রতিক ধারা
বর্তমানে দূর্গা পূজা শুধু ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি এক সামাজিক উৎসবেও পরিণত হয়েছে। পূজার সময় শহর জুড়ে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাবারের স্টল, এবং মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ডিজাইনার প্রতিমা, থিম প্যান্ডেল, এবং আলোকসজ্জা এই উৎসবের আরেকটি আকর্ষণ।
পূজার আনুষ্ঠানিক আচার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
দূর্গা পূজার প্রতিটি দিন এক একটি বিশেষ আচার ও ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে। এই আচারগুলোর মধ্যে প্রধান কিছু আচার হলো:
১. চণ্ডীপাঠ
চণ্ডীপাঠ হলো মা দূর্গার গুণাবলী বর্ণনা করা এবং তাঁর শক্তি ও মহিমা প্রকাশের একটি পদ্ধতি। পূজার সময় চণ্ডীপাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি দেবীর আয়োজনের একটি আবশ্যক অংশ।
২. অঞ্জলি প্রদান
অঞ্জলি হলো পূজার একটি মূল আচার যেখানে ভক্তরা দেবীকে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করে এবং তার আশীর্বাদ কামনা করে। অষ্টমী তিথির অঞ্জলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই দিনে অঞ্জলি দেওয়া মানেই পূর্ণতায় পূজার অংশগ্রহণ।
৩. ধুনুচি নাচ
ধুনুচি নাচ হলো দূর্গা পূজার একটি ঐতিহ্যবাহী ও আনন্দময় অংশ। এটি সাধারণত অষ্টমী ও নবমী তিথিতে করা হয়, যেখানে ভক্তরা ধুনুচি হাতে নেচে দেবীকে শ্রদ্ধা জানায়।
৪. সিঁদুর খেলা
দশমী তিথিতে সিঁদুর খেলা অন্যতম এক আনন্দদায়ক আচার। মেয়েরা দেবীর মুখে সিঁদুর লাগিয়ে একে অপরের মুখে সিঁদুর লাগিয়ে দেয়। এটি বিজয়া দশমীর অন্যতম প্রতীকী অনুষ্ঠান।
৫. প্রতিমা বিসর্জন
দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়, যা দেবীর বিদায়ের প্রতীক। ভক্তরা জলাশয়ে দেবীর প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে তাঁকে বিদায় জানায় এবং বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করে।
দূর্গা পূজা: সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রভাব
দূর্গা পূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বাঙালি জীবনের একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও। এই সময়ে শহরের প্রতিটি কোণে কোণে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। মণ্ডপের সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এবং পথের খাবার সব মিলিয়ে পূজা হয়ে ওঠে এক সামাজিক মিলনমেলা।
বর্তমানে বিভিন্ন থিম প্যান্ডেল ও ডিজাইনার প্রতিমা পূজার অন্যতম আকর্ষণ। প্রতিটি মণ্ডপ আলাদা আলাদা থিমে সাজানো হয়, যা দর্শকদের মধ্যে ভিন্ন অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এর সাথে সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেমন নাটক, গান, নাচ এবং অন্যান্য সৃষ্টিশীল কার্যকলাপও অনুষ্ঠিত হয়।
দূর্গা পূজা: উৎসবের আর্থিক প্রভাব
দূর্গা পূজার সময় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ হয়। থিম প্যান্ডেল থেকে শুরু করে মেলা, খাবার স্টল, পোশাকের দোকান, এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক উদ্যোগ পূজার সময় অর্থনীতিতে একটি বড় প্রভাব ফেলে। ছোট ও বড় ব্যবসায়ীরা এই সময়টিতে তাদের বিক্রি ও লাভের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করে।
তাছাড়া পূজার সময় ফ্যাশন এবং খাবারের ব্যবসায়ও ব্যাপক বিকাশ ঘটে। নতুন পোশাক কেনা, গয়না ও অন্যান্য ফ্যাশন সামগ্রী কেনার হিড়িক লেগে যায়। খাবারের স্টল থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্ট, সব জায়গায় উপচে পড়া ভিড় থাকে, যা অর্থনীতির চাকা ত্বরান্বিত করে।
দূর্গা পূজার পরিবেশগত প্রভাব
দূর্গা পূজার সময় আমাদের উৎসাহ এবং আনন্দের পাশাপাশি পরিবেশের দিকটাও মনে রাখতে হবে। প্রতিবছর প্রতিমা বিসর্জনের ফলে জলাশয়গুলোতে দূষণ বেড়ে যায়। প্লাস্টার অব প্যারিস এবং রাসায়নিক রঙের ব্যবহারের কারণে নদী ও পুকুরের জল দূষিত হয়, যা জলজ প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। তাই অনেকেই বর্তমানে মাটির প্রতিমা এবং পরিবেশবান্ধব রঙের দিকে ঝুঁকছেন, যা পরিবেশ সংরক্ষণে সাহায্য করে।
কীভাবে দূষণ কমানো যায়?
দূর্গা পূজার সময় পরিবেশ রক্ষার জন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যেমন:
- মাটির প্রতিমা ব্যবহার করা, যা সহজেই পানিতে মিশে যায় এবং পরিবেশে কোনো ক্ষতি করে না।
- প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করা, যা রাসায়নিক মুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব।
- নির্দিষ্ট বিসর্জনস্থলে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া, যাতে জলাশয়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট না হয়।
- আলোর ব্যবহার কমানো এবং শক্তি সঞ্চয়কারী LED লাইট ব্যবহার করা।
- প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহার করা।
যদি আমরা সকলে সচেতন হই, তবে দূর্গা পূজা যেমন আনন্দের উৎস হবে, তেমনই পরিবেশের জন্যও একটি সুস্থ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে।
দূর্গা পূজার বৈশ্বিক প্রচলন
দূর্গা পূজা শুধু পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি এখন একটি বৈশ্বিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বসবাসরত বাঙালি সম্প্রদায়ও মহা ধুমধামের সঙ্গে দূর্গা পূজা পালন করে। আন্তর্জাতিক মণ্ডপগুলোতে বাঙালি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বজায় রেখে পূজার আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়।
আরো পরুনঃ পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা: বিস্তারিত জানুন
বিদেশে পূজার আয়োজন কেমন হয়?
বিদেশের মণ্ডপগুলোতে থিম এবং প্রতিমা প্রায়ই বাঙালি ঐতিহ্য মেনে তৈরি করা হয়। বাঙালি সম্প্রদায় একত্রে থেকে দেবীর পূজা, অঞ্জলি, আরতি এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এছাড়াও, বিদেশের মণ্ডপগুলোতে অনেক সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীরাও অংশগ্রহণ করে এবং বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়।
বিশ্বজুড়ে এই ধরণের দূর্গা পূজা প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে বাঙালি ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এক সামাজিক বন্ধনের উপলক্ষ্যও হয়ে ওঠে।
দূর্গা পূজার আধুনিক পরিবর্তন এবং প্রযুক্তির ব্যবহার
দূর্গা পূজা বর্তমানে শুধু ধর্মীয় উৎসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আধুনিক প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল মাধ্যমের মাধ্যমে নতুন রূপে বিকশিত হয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে অনলাইনে পূজার লাইভ স্ট্রিমিং, ভার্চুয়াল অঞ্জলি এবং অনলাইন প্রতিমা দর্শনের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভার্চুয়াল দূর্গা পূজা
প্রযুক্তির উন্নতির কারণে এখন অনেক মণ্ডপে পূজার আচার-অনুষ্ঠান এবং প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা অনলাইনে করা হয়। বিশেষ করে যেসব মানুষ ভিড় বা সময়ের অভাবে মণ্ডপে যেতে পারেন না, তারা অনলাইনে বসে পূজা উপভোগ করতে পারেন।
অনলাইনে পূজার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে ভক্তরা মণ্ডপের আচার-অনুষ্ঠান দেখতে পারেন। ভার্চুয়াল অঞ্জলি, পুজোর লাইভ আরতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আচারও এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ।
সামাজিক মাধ্যমে পূজার উন্মাদনা
বর্তমান সময়ে সামাজিক মাধ্যম যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং ইউটিউবে পূজার আপডেট এবং আয়োজন সম্পর্কে নিয়মিত তথ্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন মণ্ডপ তাদের আয়োজনের ফটো, ভিডিও এবং তথ্য সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে, যা দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি করে।
এছাড়াও, পূজার সময়ে ভক্তরা নিজেদের ছবি, ভিডিও এবং মুহূর্ত সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন, যা পূজার উচ্ছ্বাসকে আরও বৃদ্ধি করে। এইভাবে সামাজিক মাধ্যম এবং প্রযুক্তির ব্যবহার দূর্গা পূজাকে একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরেছে।
দূর্গা পূজার সময় জনসচেতনতা বৃদ্ধি
দূর্গা পূজার সময় অনেক সামাজিক সংস্থা এবং এনজিও জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। যেমন:
- পরিবেশ রক্ষার প্রচার
- প্লাস্টিক মুক্ত পূজা উদযাপন
- মেয়েদের শিক্ষা এবং নারী সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি
- রক্তদান শিবির আয়োজন
- স্বাস্থ্য শিবির এবং মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন
এমন উদ্যোগগুলো সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। দূর্গা পূজার মতো বড় উৎসবের সময় এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে বার্তা পৌঁছানো সহজ হয়।
দূর্গা পূজার সময় রক্তদান শিবির
দূর্গা পূজার সময় অনেক মণ্ডপে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়, যেখানে ভক্তরা রক্তদান করে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ করেন। রক্তদানের মাধ্যমে অনেক মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয় এবং এই ধরণের উদ্যোগ মানুষের মধ্যে একতার বার্তা ছড়ায়।
আরো পরুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
নারী সুরক্ষার প্রচারণা
দূর্গা পূজার সময় অনেক সংগঠন নারী সুরক্ষা এবং মেয়েদের শিক্ষার জন্য বিশেষ প্রচারণা চালায়। দেবী দূর্গা হলেন শক্তির প্রতীক, তাই নারীদের অধিকার এবং সুরক্ষার বিষয়টি এই সময়ে বিশেষ গুরুত্ব পায়।
FAQs
২০২৪ সালের দূর্গা পূজা কবে শুরু হবে?
২০২৪ সালের দূর্গা পূজা ১১ অক্টোবর ২০২৪ (শুক্রবার) ষষ্ঠী থেকে শুরু হবে এবং ১৫ অক্টোবর ২০২৪ (মঙ্গলবার) বিজয়া দশমী পালিত হবে।
মহালয়া ২০২৪ সালে কবে হবে?
মহালয়া ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (সোমবার) তারিখে পালিত হবে।
দূর্গা পূজার কোন দিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
অষ্টমীর দিনটি দূর্গা পূজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে বিবেচিত হয়। এই দিনে সন্ধিপূজা করা হয় এবং দেবীর মহিষাসুরমর্দিনী রূপের পূজা হয়।
দূর্গা পূজা কেমন করে পালিত হয়?
দূর্গা পূজা মূলত পাঁচদিন ধরে পালিত হয়। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত নানা আচার অনুষ্ঠান, দেবী আরাধনা, অঞ্জলি, ধুনুচি নাচ এবং বিজয়ার আয়োজন করা হয়।
পূজা বিসর্জনের দিন কী করা হয়?
বিজয়া দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। এই দিনে সিঁদুর খেলা হয় এবং সবাই একে অপরের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করে।
উপসংহার
দূর্গা পূজা বাঙালি সংস্কৃতির একটি অপরিহার্য অংশ। ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি এটি একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের উৎসব। ২০২৪ সালে দূর্গা পূজার তারিখ, সময়সূচি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এই পোস্টে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাদের পূজার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।
আমাদের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url